পশ্চিমা সেনারা ইউক্রেনে গেলে লক্ষ্যবস্তু হবে : পুতিন
প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেনে যদি পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা হয় তবে তারা মস্কোর বৈধ হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠবে। গতকাল শুক্রবার ভ্লাদিভোস্তকে এক অর্থনৈতিক ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুতিন এই মন্তব্য করেন। এর একদিন আগে কিয়েভের মিত্ররা শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রে সেনা মোতায়েনের অঙ্গীকার করে। মস্কো থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। ফ্রান্স ও ব্রিটেনের নেতৃত্বে প্রায় দুই ডজন দেশ গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে যে তারা স্থল, সমুদ্র ও আকাশে একটি ‘আশ্বাস প্রদানকারী’ বাহিনী গঠন করবে, যা কোনো চুক্তি কার্যকর হলে টহল দেবে। ‘যদি কিছু সেনা সেখানে উপস্থিত হয়, বিশেষ করে এখন যখন যুদ্ধ চলছে, আমরা ধরে নিচ্ছি তারা বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। পুতিন বলেন, এ ধরনের বাহিনী মোতায়েন দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য সহায়ক নয় এবং ইউক্রেনের পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক সম্পর্ককে সংঘাতের ‘মূল কারণগুলোর’ একটি হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। ইউক্রেনের মিত্ররা এখনও পরিকল্পনার বিস্তারিত জানায়নি, কত সেনা থাকবে কিংবা কোন দেশ কীভাবে অবদান রাখবে, সে সম্পর্কে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। কিয়েভ বলছে, পশ্চিমা সেনাদের সমর্থনে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা যে কোনো শান্তিচুক্তির জন্য অত্যন্ত জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে রাশিয়া আবারও আক্রমণ চালাতে না পারে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো আক্রমণ শুরু করার পর থেকে লাখ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে এবং পূর্ব ও দক্ষিণ ইউক্রেনের বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে। এরইমধ্যে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। পুতিন বলেন, যদি এমন কোনো চুক্তি করা সম্ভব হয়, তাহলে সৈন্যদের কোনো প্রয়োজন নেই। ‘যদি শান্তি ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার মতো সিদ্ধান্ত হয়, তবে আমি একেবারেই তাদের উপস্থিতির প্রয়োজনীয়তা দেখি না। কারণ যদি চুক্তি হয়, তবে কেউ সন্দেহ করবেন না যে রাশিয়া তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলবে। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো বারবার উল্লেখ করেছে যে রাশিয়া অতীতে একাধিকবার চুক্তি ভঙ্গ করেছে বিশেষ করে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যেও মস্কো সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দেশটির পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
