ইসরায়েলকে রুখতে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ জরুরি

প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইসরায়েল বারবার প্রমাণ করেছে, তাদের কোনো কাজের সঙ্গেই আন্তর্জাতিক আইন বা মানবতার নূ?্যনতম শিষ্টাচারের সম্পর্ক নেই। আঞ্চলিক আধিপত্যই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। গাজায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টির পাশাপাশি দোহায় সাম্প্রতিক হামলা প্রমাণ করেছে- এই আগ্রাসন কেবল ফিলিস্তিন নয়, গোটা অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। কোনো অন্য রাষ্ট্র যদি এক সপ্তাহে ছয় দেশে হামলা চালাতো, তবে তাকে সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করা হতো। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের দ্বিচারিতা ইসরায়েলকে সেই দায় থেকে রক্ষা করছে, যা লজ্জাজনক। গতকাল সোমবার পাকিস্তানি গণমাধ্যম সামা টিভির সম্পাদকীয়তে এসব কথা বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গাজাকে গত দুই বছরে যেভাবে ইসরায়েলি বাহিনী একটি গণহত্যার মাঠে পরিণত করেছে, তা অমানবিক ও ঘৃণ্য। সিরিয়া ও পশ্চিম তীরে ক্রস-বর্ডার হামলা ও ভূমি দখল আজ তাদের প্রকাশ্য নীতি। সম্প্রতি দারা প্রদেশে স্থল অভিযান এবং গোলান মালভূমিতে লেবানন ফ্যাসিলিটি চালু করাও আগ্রাসনেরই অংশ। কিন্তু বিশ্ব সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হলো কেবল দোহায় হামলার পর। এরই মধ্যে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আব্রাহাম চুক্তি ছিন্ন করার কথা বলছে, তুরস্ক আকাশপথ ও সমুদ্রবন্দর বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েলের জন্য। যদিও এসব পদক্ষেপ ইতিবাচক, তবে যথেষ্ট নয়। যেহেতু বিশ্বশক্তিগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনই কঠোর অবস্থান নেবে বলে মনে হচ্ছে না, তাই মুসলিম দেশগুলোকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। ৫৭ রাষ্ট্রের সংগঠন ওআইসি একটি অপ্রয়োগিত শক্তি, যা প্রয়োগ করার এখনই সময়। দোহায় অনুষ্ঠিতব্য জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলন এই ঐক্যকে নতুন মাত্রা দিতে পারে।

বিশেষ করে পাকিস্তানকে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে নেতৃত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দোহা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন- তার মনে রাখতে হবে, ইসলামাবাদের কণ্ঠস্বর মুসলিম বিশ্বে গুরুত্ব বহন করে। এখন সময় এসেছে, মুসলিম বিশ্ব ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি স্থগিত করুক এবং জাতিসংঘে ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নতুন করে তুলুক।

একই সঙ্গে ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও কোম্পানির ওপর লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে, যাতে দখলদারিত্ব ও যুদ্ধাপরাধ থেকে আর্থিক লাভ বন্ধ হয়। পাকিস্তানের উচিত বর্জন, বিনিয়োগ প্রত্যাহার ও নিষেধাজ্ঞা আন্দোলনকে জোরদার করা, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলকে দায়ী করা, আইডিএফকে (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাব দেওয়া এবং আইএইএ- এর মাধ্যমে ইসরায়েলের পরমাণু কর্মসূচি পরিদর্শনের দাবি জানানো।

মুসলিম দেশগুলোকে এখন এমন একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিতে হবে, যা কূটনৈতিক চাপের পাশাপাশি মানবিক নেতৃত্বও প্রদর্শন করবে। অর্ধেক পদক্ষেপ নেওয়ার সময় শেষ। দুনিয়াকে এখন কঠোর ভাষায় জানাতে হবে- উচ্ছৃঙ্খল ইসরায়েলকে শৃঙ্খলায় আনা জরুরি।

একটি অপ্রয়োগিত শক্তি, যা প্রয়োগ করার এখনই সময়। দোহায় অনুষ্ঠিতব্য জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলন এই ঐক্যকে নতুন মাত্রা দিতে পারে। বিশেষ করে পাকিস্তানকে দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হিসেবে নেতৃত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ দোহা সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন- তার মনে রাখতে হবে, ইসলামাবাদের কণ্ঠস্বর মুসলিম বিশ্বে গুরুত্ব বহন করে। এখন সময় এসেছে, মুসলিম বিশ্ব ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের স্বাভাবিকীকরণ চুক্তি স্থগিত করুক এবং জাতিসংঘে ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব নতুন করে তুলুক। একই সঙ্গে ইসরায়েলি কর্মকর্তা ও কোম্পানির ওপর লক্ষ্যভিত্তিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে, যাতে দখলদারিত্ব ও যুদ্ধাপরাধ থেকে আর্থিক লাভ বন্ধ হয়। পাকিস্তানের উচিত বর্জন, বিনিয়োগ প্রত্যাহার ও নিষেধাজ্ঞা আন্দোলনকে জোরদার করা, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইসরায়েলকে দায়ী করা, আইডিএফকে (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার প্রস্তাব দেওয়া এবং আইএইএ- এর মাধ্যমে ইসরায়েলের পরমাণু কর্মসূচি পরিদর্শনের দাবি জানানো।