দোহা সম্মেলনে নেতানিয়াহুকে ‘দস্যু’ বললেন এরদোগান
প্রকাশ : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
গত সপ্তাহে ইসরায়েলের হামলার প্রেক্ষাপটে দোহায় অনুষ্ঠিত আরব-ইসলামিক সম্মেলন ইসলামী বিশ্বের কাতারের প্রতি অটুট সমর্থন প্রমাণ করেছে এমনটাই বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। এরদোগান গত সোমবার ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)-আরব লীগ বিশেষ সম্মেলনে বলেন, কাতারে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের আলোচক দলকে লক্ষ্য করে হামলা ইসরায়েলের ‘দস্যুতাকে নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন এক সন্ত্রাসী মানসিকতার মুখোমুখি, যা বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাত থেকে পুষ্টি পায়, আর একটি রাষ্ট্র সেটির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এরদোগান বলেন, ‘নেতানিয়াহুর সরকারের লক্ষ্য স্পষ্ট ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রাখা এবং একইসঙ্গে পুরো অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। এজন্য আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘ইসলামী বিশ্বের কাছে ইসরায়েলের সম্প্রসারণবাদী স্বপ্ন ভেঙে দেওয়ার যথেষ্ট উপায় ও সামর্থ্য রয়েছে। এজন্য তেল-আবিবকে অর্থনৈতিকভাবেও কোণঠাসা করতে হবে।’ এরদোগান জানান, আঙ্কারা ১৯৬৭ সালের সীমারেখার ভিত্তিতে পূর্ণ ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চালিয়ে যাবে।
কাতারের পাশে তুরস্ক : তুরস্কের প্রেসিডেন্ট আবারও পুনর্ব্যক্ত করেন, তাদের মিত্র ও ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ কাতারের পাশে আঙ্কারা সব সময় থাকবে। তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্পের সক্ষমতা ভ্রাতৃপ্রতিম দেশগুলোর সঙ্গে ভাগাভাগি করতে তুরস্ক প্রস্তুত। তার ভাষ্য, ‘আগামী দশকগুলোতে জিততে হলে আমাদের সহযোগিতা আরও জোরদার করতে হবে।’ আন্তর্জাতিক আইনি পদক্ষেপের দাবি : এরদোগান জোর দিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামো ব্যবহার করতে হবে। আমরা এমন এক সন্ত্রাসী মানসিকতার সঙ্গে লড়ছি, যা বিশৃঙ্খলা ও রক্তপাতের ওপর নির্ভর করে এবং একটি রাষ্ট্র সেই মানসিকতাকে ধারণ করে আছে।
