ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিল সান মারিনো
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল সান মারিনো। কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, পর্তুগাল, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের পর ইউরোপের এই দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোর তালিকায় যুক্ত হলো। গতকাল শনিবার এই স্বীকৃতির ঘোষণা দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লুকা বেক্কারি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গত ১৫ মে আমাদের সংসদ সর্বসম্মত সমর্থনসহ সরকারকে এ বছরের মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। আজ এই পরিষদের সামনে আমরা সেই নির্দেশ পূরণের ঘোষণা দিচ্ছি। সান মারিনো আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে।’ সান মারিনোর পক্ষে বেক্কারি জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সীমানার ভেতরে ফিলিস্তিনকে একটি সার্বভৌম ও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দেন। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই করতালিতে মুখর হয়ে ওঠে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনকক্ষ। বেক্কারি বলেন, ‘একটি রাষ্ট্র পাওয়া ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার। এটি কোনোভাবেই হামাসের পুরস্কার নয়, আর কখনো হতে পারে না।’ বেক্কারি আরও জানান, এ সিদ্ধান্ত সান মারিনোর আগের অবস্থানের সঙ্গেই সংগতিপূর্ণ, যা গত জুলাইয়ে সৌদি আরব ও ফ্রান্স আয়োজিত উচ্চপর্যায়ের সম্মেলনে জানানো হয়েছিল। গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান মানবিক বিপর্যয় প্রসঙ্গে গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। ‘অসহনীয়’ এবং ‘আমাদের সময়ের অন্যতম বেদনাদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী ট্র্যাজেডি’ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে আক্রমণ চালানোর নিন্দা জানান বেক্কারি এবং সব জিম্মিকে অবিলম্বে ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আরও একবার তাঁর দেশের দাবি পুনরুল্লেখ করেন, গাজায় অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, পূর্ণ ও বাধাহীন মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার এবং পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান, যা যে কোনো ‘বাস্তবসম্মত শান্তির সম্ভাবনাকে’ নস্যাৎ করছে। বেক্কারি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর নির্বিচারে বোমাবর্ষণ, অনাহার আর বাস্তুচ্যুতির মাধ্যমে যে সম্মিলিত শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তার কোনো ন্যায্যতা থাকতে পারে না। আমরা যদি ঐক্য ও দৃঢতার সঙ্গে এখনই পদক্ষেপ না নিই, তাহলে মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে দুটি জাতির পাশাপাশি বসবাসের স্বপ্ন চিরতরে হারিয়ে যাবে।’
