মার্কিন-ইসরায়েলি গোপন ঘাঁটিতে আঘাত হানে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিবে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের যৌথ গোপন সামরিক ঘাঁটি সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে অনুসন্ধানধর্মী সংবাদমাধ্যম দ্য গ্রেজোন।

সংস্থাটির প্রকাশিত অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সাইট-৮১’ নামে ওই ভূগর্ভস্থ কমান্ড সেন্টারটি তেলআবিবের বিলাসবহুল দা ভিঞ্চি টাওয়ারস ভবনের নিচে অবস্থিত। এটি ইসরায়েল সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর একটি গুরুত্বপূর্ণ কমান্ড ও কন্ট্রোল নোড হিসেবে ব্যবহৃত হতো। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক দশকেরও বেশি সময় আগে যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্রকৌশলীরা এর নির্মাণ কাজে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।

গত ১৩ জুন তেলআবিবের উত্তরাঞ্চলে একাধিক স্থানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতের পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ দ্রুত পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে। সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ফক্স নিউজের সাংবাদিক ট্রে ইয়িংস্টসহ কয়েকজন প্রতিবেদক পুলিশ সরিয়ে দেয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

সেই হামলার কিছুক্ষণ পর ইরানি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, তাদের হামলায় ইসরায়েলের সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত হানা হয়েছে। ইরান দাবি করে, এটি ছিল ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ইরানে অভ্যন্তরীণ হামলার জবাব। দ্য গ্রেজোনের অনুসন্ধান অনুযায়ী, ‘সাইট-৮১’ প্রকল্পটি ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি কর্পস অব ইঞ্জিনিয়ার্সের তত্ত্বাবধানে ৬ হাজার বর্গমিটারের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক সুরক্ষিত স্থাপনায় রূপ নেয়। ভূ-অবস্থান বিশ্লেষণ ও সরকারি নথিপত্রে দেখা গেছে, এটি তেলআবিবের দা ভিঞ্চি টাওয়ারসের নিচে, কানারিত এয়ার ফোর্স টাওয়ারসের কাছেই অবস্থিত।

এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক অঞ্চল, যেখানে মাত্র ১০০ মিটার দূরে রয়েছে শিশুদের খেলার মাঠ ও একটি কমিউনিটিসেন্টার। প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েল বেসামরিক জনপদের ভেতর এমন সামরিক স্থাপনা গড়ে তুলে সাধারণ মানুষকে ঝুঁকিতে ফেলেছে- যা আন্তর্জাতিকভাবে মানবঢাল ব্যবহারের শামিল।