‘প্রিন্স’ উপাধি হারালেন অ্যান্ড্রু, বিতাড়িত হচ্ছেন রাজপ্রাসাদ থেকেও
প্রকাশ : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ব্রিটেনে আধুনিক সময়ের সবচেয়ে নাটকীয় সময় পার করছে দেশটির রাজপরিবার। রাজা তৃতীয় চার্লসের নির্দেশে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর রাজকীয় উপাধি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এমনকি, তাকে ছেড়ে দিতে হবে রাজকীয় আবাস উইন্ডসর প্রাসাদ। মার্কিন যৌন নিপীড়ক জেফরি এপস্টেইনের সঙ্গে একসময়ের সখ্যতাসহ বিভিন্ন অভিযোগে জর্জরিত অ্যান্ড্রুকে দূরে রেখে রাজপরিবার তাদের ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা করছে।
রাজা ঘোষণা দিয়েছেন, অ্যান্ড্রুর সব উপাধি প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং এখন থেকে তার পরিচয় হবে অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর। সিদ্ধান্তটি রাজা চার্লসের তরফ থেকে জারি করা হলেও রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যের এতে সায় ছিল। বিশেষত রাজার ছেলে এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকার ৪৩ বছর বয়সি ক্রাউন প্রিন্স উইলিয়াম এতে জোরালো সমর্থন জানিয়েছেন। চলতি মাসের শুরুর দিকে অ্যান্ড্রু ডিউক অব ইয়র্ক উপাধিও হারান।
বাকিংহাম প্যালেসের বিবৃতিতে জানা যায়, অ্যান্ড্রুকে লন্ডনের পশ্চিমে উইন্ডসর এস্টেটের রয়্যাল লজ প্রাসাদে বসবাসের অধিকার আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়তে বলা হয়েছে। তিনি এখন ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলে স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটে ব্যক্তিগত একটি বাড়িতে চলে যাবেন। ৬৫ বছর বয়সি অ্যান্ড্রু হচ্ছেন প্রয়াত রানি এলিজাবেথের দ্বিতীয় ছেলে এবং রাজা চার্লসের ছোট ভাই। গত কয়েক বছর ধরে এপস্টেইনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ও বিভিন্ন ইস্যুতে তীব্র সমালোচনার মুখে রয়েছেন তিনি। একসময় অ্যান্ড্রু ছিলেন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর জনপ্রিয় কর্মকর্তা।
১৯৮০ এর দশকে তিনি ফকল্যান্ডস যুদ্ধে অংশ নেন। কিন্তু ২০১১ সালে তিনি ব্রিটিশ বাণিজ্য দূতের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হন এবং ২০১৯ সালে সব রাজকীয় দায়িত্ব ছেড়ে দেন। ২০২২ সালে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে তার সামরিক উপাধি ও রাজপৃষ্ঠপোষকতার পদগুলোও বাতিল করা হয়। সেই বছরই অ্যান্ড্রু ভার্জিনিয়া জিওফ্রে নামের এক নারীর দায়ের করা মামলা মীমাংসা করেন। জিওফ্রে দাবি করেছিলেন, কিশোরী অবস্থায় অ্যান্ড্রু তাকে যৌন নিপীড়ন করেছিলেন। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করলেও জিওফ্রের মৃত্যুর পর প্রকাশিত তার স্মৃতিকথায় বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। রাজপরিবার জানায়, অ্যান্ড্রু সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার ছিল বলে বিবেচিত হয়েছে।
