২০১৪ সালে গাজায় নিহত সেনা কর্মকর্তার লাশ পেল ইসরায়েল

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০১৪ সালে ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত এক ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তার লাশ ফেরত পেয়েছে ইসরায়েল। নিহত এই সেনা কর্মকর্তার নাম লেফটেন্যান্ট হাদার গোল্ডিন। ১১ বছর আগে অবরুদ্ধ এই উপত্যকায় হামাসের হাতে নিহত হয়েছিলেন তিনি। লাশটি এতোদিন গাজাতেই ছিল এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে হামাস এটি ইসরায়েলের কাছে হস্তান্তর করে।

গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ২৩ বছর বয়সে নিহত হওয়া গোল্ডিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাকে এখন দাফন করা হবে। তিনি বাবা-মা, এক বোন, দুই ভাই ও এক বাগদত্তা রেখে গিয়েছিলেন। এর আগে হামাসের সামরিক শাখা গত রোববার জানিয়েছিল, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে গোল্ডিনের লাশ হস্তান্তর করা হবে। চুক্তির প্রথম ধাপে হামাস এখন পর্যন্ত ২০ জন জীবিত ও ২৮ জন মৃত জিম্মির মধ্যে ২৪ জনের লাশ ফেরত দিয়েছে। গোল্ডিনের বাবা সিমচা গোল্ডিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জয় মানে হলো আমাদের জিম্মিদের ঘরে ফিরিয়ে আনা, আমাদের সৈন্যদের ফিরিয়ে আনা।’

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ জানিয়েছেন, তারা গত ১১ বছর ধরে অফিসে গোল্ডিনের ছবি রেখেছিলেন। নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা কখনও হাল ছাড়িনি। আমি জানি, তার পরিবারের যন্ত্রণা কতো গভীর। আজ গোটা ইসরায়েল একত্র হয়েছে তাকে অবশেষে তার বাবা-মায়ের কাছে, তার ঘরে, তার কবরস্থানে ফিরিয়ে আনতে।’

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, গোল্ডিনের লাশ উদ্ধারের প্রচেষ্টা গত এক দশক ধরেই চলেছে। সেনাবাহিনী গোল্ডিনের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেছে, তারা এখনও সব নিহত জিম্মিদের লাশ ফেরানোর জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এবং চুক্তি বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত। প্রেসিডেন্ট হারজগ বলেছেন, সরকার সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাবে। বর্তমানে গাজায় চারজন জিম্মি রয়ে গেছেন তিনজন ইসরায়েলি ও একজন থাই নাগরিক। গোল্ডিন ছিলেন একমাত্র নিহত ইসরায়েলি সৈন্য যার লাশ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আক্রমণের আগে থেকেই গাজায় ছিল। ২০১৪ সালের ১ আগস্ট তিনি দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরের কাছে কৃষি এলাকায় টহল দেওয়ার সময় হামাস যোদ্ধাদের হামলায় প্রাণ হারান।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর তদন্তে দেখা যায়, গোল্ডিন ও তার আরও দুই সহযোদ্ধা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন এবং হামাস যোদ্ধারা তার লাশ একটি ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে টেনে নিয়ে যায়। তখন তাকে উদ্ধারের জন্য ইসরায়েল ব্যাপক গোলাবর্ষণ চালায়। সেই হামলায় রাফাহে শতাধিক ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। আর সেই বোমাবর্ষণ চলেছিল টানা চার দিন ধরে।