দিল্লি বিস্ফোরণকে ‘আত্মঘাতী বোমাহামলা’ বলল ভারত
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গত ১০ নভেম্বর ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণকে ‘আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ)। এই প্রথমবার এ ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী হামলা’ তকমা দিল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন কোনো তদন্ত সংস্থা। হামলার ষড়যন্ত্রে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে গত রোববার দিল্লি থেকে আমির রাশিদ আলী নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রদান করা এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে ‘আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে এনআইএ।
গত ১০ নভেম্বর স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে নয়াদিল্লির পর্যটন এলাকা লাল কিল্লার একটি মেট্রো স্টেশনের কাছে গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ওই গাড়ির চালক উমর নবী ১৩ জন এবং আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন।
প্রাথমিক তদন্ত এবং ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে বিস্ফোরণকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়েছে ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস বা আইডি বোমা এবং এটি ফিট করা হয়েছিল হুন্দাই আই ২০ সিরিজের সেই গাড়িতে। ভারতের জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের কাশ্মিরের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা উমর নবী হরিয়ানার ফরিদাবাদ শহরের আল ফালাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। পুলওয়ামায় তার বসতবাড়িটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে জম্মু-কাশ্মির পুলিশ, তার দুই ভাই এবং মাকে আটকও করা হয়েছে। এনআইএ-এর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার আমির রাশিদ আলীর বাড়ি পুলওয়ামা জেলার সামবুরা জেলায়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, গত ১০ নভেম্বরের বিস্ফোরণ ছিল একটি পরিকল্পিত আত্মঘাতী হামলা এবং সে এই হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। বিস্ফোরণে যে গাড়িটি ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটির মালিক ছিল আমির। গাড়িটি তার নামেই নিবন্ধিত ছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, আমিরের দায়িত্ব ছিল হামলার আগ পর্যন্ত উমরের সঙ্গে থাকা এবং তাকে সহযোগিতা করা। গাড়িটি কেনা থেকে শুরু করে সেটিতে বোমা ফিট করা পর্যন্ত প্রতিটি কাজে অংশ নিয়েছেন আমির। এমনকি যে সন্ধ্যায় হামলা ঘটে, সেই সন্ধ্যায়ও উমরের সঙ্গে গাড়িতে ছিলেন আমির। বিস্ফোরণের কিছু সময় আগে গাড়ি থেকে নেমে যান তিনি।
এ ঘটনায় আরও অভিযুক্ত থাকতে পারে বলে ধারণা করছে এনআইএ। বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ‘এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নেটওয়ার্ক অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে ধারণা করছে এনআইএ। তাছাড়া হামলাকারীরা কোথা থেকে অর্থ পেল এবং বিদেশের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এনআইএ- র বিভিন্ন টিম বিভিন্ন স্তরে তাদের মতো অনুসন্ধান ও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।’
