কয়েকশ ফিলিস্তিনিকে পুলিশের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিশর

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করতে ফিলিস্তিনি কয়েকশ’ পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে মিসর। ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা এএফপিকে এ কথা বলেছেন। মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি গত আগস্টে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তফার সঙ্গে কথা বলার সময় গাজার জন্য পাঁচ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, মার্চে কায়রোতে প্রথম ভাগে পাঁচ শতাধিক কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরও কয়েক শ জনকে প্রশিক্ষণ দিতে সেপ্টেম্বর থেকে আবার দুই মাসের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বাহিনীর সব সদস্য গাজা উপত্যকা থেকে নেওয়া হবে এবং দখল করা পশ্চিম তীরের রামাল্লাভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন দেবে। ২৬ বছর বয়সি ফিলিস্তিনি এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি এ প্রশিক্ষণের বিষয়ে খুব খুশি। আমরা চাই, যুদ্ধ ও আগ্রাসনের স্থায়ী সমাপ্তি হোক। আমরা আমাদের দেশ ও দেশের নাগরিকদের সেবা করতে উদগ্রীব হয়ে আছি।’ ওই পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, তিনি আশা করছেন, নিরাপত্তা বাহিনী স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে। তারা শুধু ফিলিস্তিনের প্রতি অনুগত থাকবে এবং কোনো বাইরের জোট বা উদ্দেশ্য দিয়ে প্রভাবিত হবে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ফিলিস্তিনি এক লেফটেন্যান্ট বলেন, ‘সীমান্তে নজরদারির জন্য আধুনিক সরঞ্জামের পাশাপাশি আমরা কার্যক্রম পরিচালনা-সংক্রান্ত দারুণ প্রশিক্ষণ পেয়েছি।’ ওই লেফটেন্যান্ট গত বছর তার পরিবারসহ গাজা ছেড়ে এসেছেন। তিনি বলেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়া এবং এর ফলে ফিলিস্তিনের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টিকে প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলে হামাসের হামলায় ১ হাজার ২২১ জন নিহত হন বলে দাবি করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ওই ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবে গাজায় শুরু করা ইসরায়েলের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৭০ হাজার ১০০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। জাতিসংঘ এ মন্ত্রণালয়ের সংখ্যাকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে।