ঢাকা সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জন্মনিয়ন্ত্রণ : ইসলামি দৃষ্টিকোণ

জন্মনিয়ন্ত্রণ : ইসলামি দৃষ্টিকোণ

মুসলিম আলেম-ওলামাদের মধ্যে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ বিস্তর। তবে শর্তসাপেক্ষে কিছু আলেম-ওলামা কোরআন হাদিসের দলিলের ভিত্তিতে জন্মনিয়ন্ত্রণের বৈধতা দিয়ে থাকেন। কোরআন-হাদিসে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা, না করার পক্ষে যথেষ্ট দলিলাদি রয়েছে যা তারা প্রমাণ হিসেবে পেশ করে থাকেন। জন্মনিয়ন্ত্রণ বলতে সন্তান সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ এবং প্রত্যাশিত সময়ে গর্ভধারণকে বোঝানো হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণের সমার্থক শব্দ হিসেবে গর্ভবিরতীকরণ, গর্ভনিরোধ, প্রজনন নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করা হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণের ইংরেজি হলো উইকিপিডিয়া মতে, Birth control.DBwKwcwWqv g‡Z, Birth control, also known as contraception and fertility control, is a method or device used to prevent pregnancy.. গর্ভধারণ প্রতিরোধের এক বা একাধিক কর্মপ্রক্রিয়া, পদ্ধতি, সংযমিত যৌনচর্চা অথবা ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে ঐচ্ছিকভাবে গর্ভধারণ বা সন্তানপ্রসব থেকে বিরত থাকার স্বাস্থ্যবিধিই হলো জন্মনিয়ন্ত্রণ। ইতিহাস ঘেঁটে পাওয়া যায় সর্বপ্রথম ৫০০০-৩২০০ খ্রি. আগে মিসরীয় সভ্যতায় জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি ব্যবহারের উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রাচীনকালে জন্মনিয়ন্ত্রণে বিঘিœত যৌনমিলন ও বিবিধ প্রকার প্রাকৃতিক ভেষজ ঔষুধি সেবনের মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হতো।

আধুনিককালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ সংস্কারক মার্গারেট সেনগার ১৯১৪ সালে দ্য ওমেন রেবেল নামক একটি আট পৃষ্ঠার মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন এবং এর মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণের প্রচারণা শুরু হয়। মূলত বিংশ শতাব্দীতে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যাপকভাবে প্রচারণা পায়। এটিকে পরিবার-পরিকল্পনা হিসেবেও অভিহিত করা হয়। ইংরেজিতে ‘বার্থ কন্ট্রোল’ বা জন্মনিয়ন্ত্রণ শব্দটির প্রবক্তাও হলেন মার্গারেট সেনগার।

১৯৬০-এর দশকে জন্মনিয়ন্ত্রণে জরায়ুস্থ গর্ভনিরোধক পিলের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হলে সাধারণ জনগণের মধ্যে এটি দ্রুত বিস্তার ঘটে। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনসংখ্যা সমস্যাকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা নীতির রুপরেখায় ‘পরিবার-পরিকল্পনা নীতি’ প্রণীত হয়। এর আগে ১৯৫৩ সালে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান প্রথম পরিবার-পরিকল্পনার কাজ শুরু করে। পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, বাংলাদেশে জন্মনিয়ন্ত্রণে যেসব পদ্ধতি এখন ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো হলো জন্ম বিরতিকরণ পিল, কপার টি, জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন, লাইগেশন, কনডম, ভ্যাসেকটমি, ফোম ট্যাবলেট, নরপ্লান্ট, কনডম, আইইউডি, ল্যাম (LAM) ইত্যাদি।

পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২০১৮ সালের হিসাব মতে, বাংলাদেশে সক্ষম দম্পতিদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকেন। মুসলিম বিশ্বের অনেক দেশ জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। একটি পরিসংখ্যান মতে, এ পদ্ধতির হার ইরানে ৭৩ শতাংশ, আলজেরিয়া ৭১ শতাংশ, তুরস্কে ৭৩ শতাংশ, বাহরাইনে ৬২ শতাংশ, তিউনিসিয়ায় ৬৩ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ায় ৬২ শতাংশ, মিশর ৬০ শতাংশ, জর্ডান ৫৯ শতাংশ, মালয়েশিয়া ৪৯ শতাংশ, মরক্কো ৬৭ শতাংশ, কুয়েতে ৫২ শতাংশ, কাতারে ৪৩.২ শতাংশ ও লিবিয়ায় ৪৫ শতাংশ।

জন্মনিয়ন্ত্রণ সাধারণত তিন পদ্ধতিতে হয়ে থাকে। ক. সাময়িক পদ্ধতি খ. স্থায়ী পদ্ধতি ও গ. গর্ভপাত পদ্ধতি।

ক. সাময়িক পদ্ধতি : এই পদ্ধতির ফলে স্বামী-স্ত্রীর কেউ প্রজনন ক্ষমতাহীন হয়ে যায় না। যেমন, আযল করা অর্থাৎ সহবাসের চরম পুলকের মুহূর্তে স্ত্রীর যোনির বাইরে বীর্যপাত ঘটানো With drawl)। হজরত জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে আযল (যা জন্মনিয়ন্ত্রণের একটা পুরোনো ও সাময়িক পদ্ধতি) করতাম। (বাখারি ২/৭৮৪)। পিল খাওয়া, কনডম ব্যবহার, পেশিতে বড়ি ব্যবহার, জরায়ুর মুখ সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া, ইনজেকশন নেওয়া ইত্যাদি। এ পদ্ধতি শুধু নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে বৈধ হবে।

প্রথমত : দুই বাচ্চার জন্মের মাঝে কিছু সময় বিরতি দেওয়া যাতে প্রথম সন্তানের লালন-পালন, পরিচর্যার ঘাটতি না হয়।

দ্বিতীয়ত : সন্তানদের স্বাস্থ্য নষ্ট হওয়ার কিংবা তাদের সঠিক লালন-পালনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হওয়ার আশংকা থাকলে।

তৃতীয়ত : মহিলা অসুস্থ ও দুর্বল হওয়ার কারণে গর্ভধারণ বিপজ্জনক মনে হলে।

চতুর্থত : দুগ্ধপোষ্য শিশু মায়ের আবার গর্ভসঞ্চার হলে শিশুর পক্ষে তা ক্ষতিকর হতে পারে। তখন মায়ের দুধের গুণগত মান নষ্ট হয়ে যেতে পারে, ফলে শিশু দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।

এছাড়া বৈষয়িক অসুবিধা, সমস্যা ও অনিশ্চয়তা তো আছেই। কোনো মুসলিম সন্তানাদির কারণে হারাম জিনিস গ্রহণ ও অবৈধ কাজে লিপ্ত হওয়ার পরিণতি দেখা দিতে পারে এমতাবস্থায় জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ হবে। আল্লাহ বলেন, আল্লাহ তোমাদের সহজ সচ্ছলতা কামনা করেন এবং তিনি কষ্ট ও কাঠিন্য কামনা করেন না। (সুরা বাকারা-১৮৫)।

মিসরের কায়রোয় অবস্থিত আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক রেক্টর প্রখ্যাত ইমাম শেখ মাহমুদ শালতুত তার ‘আলফাতাওয়া’ নামক বিখ্যাত গ্রন্থে বলেন, আলেমদের অভিমত হলো, স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্মতিতে সাময়িকভাবে গর্ভনিরোধক ব্যবহার জায়েজ তো বটেই, আর্থ-সামাজিক ও স্বাস্থ্যগত কারণে স্থায়ীভাবেও জায়েজ।

খ. স্থায়ী ব্যবস্থা : নারী-পুরুষের অপারেশনের মাধ্যমে এই স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। স্থায়ী পদ্ধতি যার দ্বারা নারী বা পুরুষ প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এই পদ্ধতিকে আলেম ওলামারা সম্পূর্ণ অবৈধ বলেছেন। আল্লামা বদরুদ্দিন আইনী (রা.) বোখারি শরিফের ব্যাখ্যায় উল্লেখ করেছেন, স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি অবলম্বন সর্বসম্মতিক্রমে হারাম। (উমদাতুল ক্বারী : ১৪/১৪ পৃ:)।

নবী কারিম (সা.) এর যুগে স্থায়ীভাবে প্রজনন ক্ষমতা বিনষ্ট করার পদ্ধতি ছিল, খাসি হয়ে যাওয়া অর্থাৎ অ-কোষ কেটে ফেলা। হাদিসে একে নিষেধ করা হয়েছে। এতে স্থায়ীভাবে প্রজনন ক্ষমতা নষ্ট হয়। হজরত কায়েছ (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, আমরা রাসুল (সা.) এর সঙ্গে জিহাদে যেতাম, আর আমাদের সঙ্গে জৈবিক চাহিদা মিটানোর কোনো কিছু থাকত না (এতে আমরা যৌনপীড়নে ভুগতাম)। তাই রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে খাসি হওয়ার অনুমতি চাইলাম, কিন্তু তিনি আমাদের এটা করতে নিষেধ করেছেন। (সহিহ বোখারি)।

মালয়েশিয়ার জাওহার-এর মুফতি আলহাজ আব্দুল জলিল জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফাতোয়াটি প্রদান করেন। ‘স্থায়ী পদ্ধতি ছাড়া ওষুধ কিংবা গর্ভনিরোধক উপকরণ ব্যবহারের মাধ্যমে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা জায়েজ। যদি দু’জন অভিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণের পরামর্শ দেন, তাহলে স্থায়ী পদ্ধতি গ্রহণও জায়েজ।’

অবশ্য কোনো জরায়ুতে ক্যান্সার বা এমন কোনো রোগ যদি হয়, যার কারণে জরায়ু কেটে ফেলা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না, সেক্ষেত্রে জরায়ু কেটে ফেলা জায়েজ আছে। এতে চিরতরের জন্য গর্ভধারণের সক্ষমতাও বিনষ্ট হতে পারে।

গ. গর্ভপাত ঘটানো পদ্ধতি : গর্ভপাত ঘটানো পদ্ধতি জন্মনিয়ন্ত্রণের একটি প্রাচীন পদ্ধতি। জন্মনিয়ন্ত্রণের উপায়-উপাদানের অনেক উন্নতি সত্ত্বেও বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ পদ্ধতিও চালু রয়েছে। এ পদ্ধতিটি অবৈধ। তবে যদি নারী কোনো কারণে অত্যধিক দুর্বল হয়, যার কারণে গর্ভধারণ তার জন্য আশঙ্কাজনক হয় এবং গর্ভধারণের মেয়াদ চার মাসের কম হয়। তাহলে গর্ভপাত বৈধ হবে বলে ইসলামি স্কলাররা মত দেন। মেয়াদ চার মাসের অধিক হলে কোনোভাবেই বৈধ হবে না।

ইসলামি প-িত আল্লামা ইবনে তাইমিয়া বলেন, উম্মতে মুসলিমার সব ফুকাহা এ ব্যাপারে একমত, (রূহ আসার পর) গর্ভপাত করা সম্পূর্ণ নাজায়েজ ও হারাম। আল কোরআনে বলা হয়েছে, ‘জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছিল’?) (সুরা তাকভীর : ৮-৯)। আল্লাহ পাক অন্য আয়াতে বলেন, ‘দারিদ্র্যের কারণে সন্তানদের হত্যা করো না, আমি তোমাদের ও তাদের রিজিক দেই।’ (সুরা আনআম-১৫১)। তিনি আরও বলেন, ‘দারিদ্র্যের ভয়ে তোমাদের সন্তানদের হত্যা করো না। তাদের এবং তোমাদের আমিই রিজিক দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদের হত্যা করা মহা অপরাধ।’ (সুরা বনী ইসরাইল-৩১)। আল্লাহ পাক আরও বলেন, তোমরা নিজেরাই নিজেদের হত্যা করো না। আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতি অতীব দয়াবান (সুরা নিসা-২৯)।

শয়তান মানুষকে দরিদ্রতার ভয় দেখিয়ে অসামাজিক, অনৈতিক কাজের প্রতি প্রলুব্ধ করে। নারী জাতি আল্লাহভীতির পাশাপাশি আরও একটি নৈতিকতা রক্ষা করতে বাধ্য হয়। তা হলো অবৈধ সন্তান জন্মের ফলে সামাজিক মর্যাদা বিনষ্ট হওয়ার আশংকা। জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নেওয়ার ফলে, এ আশংকা থেকে একদমমুক্ত। যারা বাইজি নৈশক্লাবে নাচ-গান করে, পতিতা বৃত্তি করে, প্রেমের নামে রঙ্গলীলায় মেতে উঠে, তারা অবৈধ সন্তান জন্মানোর আশংকা করে না। জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার এ সুযোগে অনেক অবিবাহিত নারী-পুরুষ পারস্পরিক দৈহিক সম্পর্ক জড়িয়ে পড়তে পারে। অথচ আল্লাহ পাক ব্যভিচার সম্পর্কে বলেন, ‘তোমরা অবৈধ যৌন সম্ভোগের নিকটবর্তী হও না। এটা অশ্লীল ও নিকৃষ্ট আচরণ।’ (সুরা : বনী ইসরালি-৩২)।

বর্তমানে বাংলাদেশে জনসংখ্যা যেভাবে হু হু করে বাড়ছে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। প্রতি ১৩ সেকেন্ডে দেশে একজন শিশু জন্মগ্রহণ করছে আর ১৪৪ সেকেন্ডে একজনের মৃত্যু হচ্ছে। গড় হিসাবে প্রতি দুই মিনিট ২৪ সেকেন্ডে মোট জনসংখ্যায় ১১ জন বৃদ্ধির বিপরীতে একজনের মৃত্যু হওয়ায় ওই সময়ে জনসংখ্যায় ১০ জন যুক্ত হচ্ছে। প্রতিদিন জন্ম নিচ্ছে প্রায় ছয় হাজার শিশু।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)-এর তথ্যানুযায়ী, ১৯৭৪ সালে জনসংখ্যা ছিল সাত কোটি ১৪ লাখের মতো, ১৯৯১ সালে ১০ কোটি ৬৩ লাখ এবং ২০১১ সালে দাঁড়ায় ১৪ কোটি ২৩ লাখ। জনসংখ্যাবিদদের হিসাবে জানুয়ারি, ২০১৮ সালে মোট জনসংখ্যা ছিল- ১৬ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার।

বিবিএসের তথ্যমতে, এ বছরের জুলাই মাসে দেশের মোট জনসংখ্যা দাঁড়ায় ১৬ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজারে। বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব ভারতের চেয়ে চার গুণ ও চীনের চেয়ে প্রায় আট গুণ বেশি। বিবিএস ২০১৫ সালে দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছিল। তাতে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) ২০১৪ সালের প্রাক্কলনের তথ্য ব্যবহার করা হয়।

এতে বলা হয়, ২০৫১ সালে দেশের মানুষ হবে ২১ কোটি ৮৪ লাখ। আর ২০৬১ সালে হবে ২২ কোটি ৫৭ লাখ। এই পরিসংখ্যানের অর্থ, জনসংখ্যা বেড়েই চলছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সে সব নারীদের বিয়ে করো যারা প্রেমময়ী ও বেশি সন্তান জন্মদানে সক্ষম, কারণ কেয়ামতের দিন আমি তোমাদের সংখ্যার জন্য গর্ব করব।’ (আবু দাউদ ও নাসাঈ)।

শরিয়তসম্মত বিধান ব্যতীত জন্মনিয়ন্ত্রণ করা উচিত নয়। আবার ছোট একটি দেশের জনবিস্ফোরণ আমাদের জন্য যেন বোঝা হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।

লেখক : শিক্ষক ও গবেষক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত