প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০
নামাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল রুকু-সিজদার তাসবিহ। তাই এ সম্পর্কে ইলম হাসিল করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য।
রুকুর তাসবিহ : সুবহা’না রাব্বিয়াল আ’যীম। অর্থ : আমি আমার মহান প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করছি। ভেঙে বললে : সুবহা’না পবিত্রতা ঘোষণা করছি। রাব্বি আমার রবের বা আমার প্রতিপালকের। আ’যীম মহান।
সিজদার তাসবিহ : সুবহা’না রাব্বিয়াল আ’লা। অর্থ : আমি আমার মহান সুউচ্চ রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি। ভেঙে বললে : সুবহা’না পবিত্রতা ঘোষণা করছি। রাব্বি আমার রব বা আমার প্রতিপালক। আল-আ’লা যিনি সুউচ্চ ও মহান।
নবী করীম (সা.) রুকু ও সিজদার মধ্যে বিভিন্ন বাক্যে দোয়া করতেন। তবে রুকুতে নিজে থেকে কোনো দোয়া করা নিষিদ্ধ। শুধু নবী করিম (সা.) রুকুতে যে দোয়া করেছেন শুধু সে দোয়া করা যাবে।
রুকু ও সিজদার সময় পড়ার জন্য সুন্দর একটা দোয়া তাসবিহ
আমরা রুকু-সিদজা বা নামাজের কোন কাজটা কেন করি আসলে বেশিরভাগ মানুষই জানি না। মা আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন ‘সুরা নাসর নাজিল হওয়ার পর রাসুলুল্লাহ্ (সা.) ‘সুবহানাকা আল্লাহুম্মা রাব্বানা ওয়া বিহামদিকা, আল্লাহুম্মাগফিরলি’ এ দোয়াটি রুকু ও সিজদার সময় বেশি বেশি পাঠ করতেন।’ (বোখারি : ৪৯৩)।
কেন রাসুলুল্লাহ (সা.) সুরা নাসর নাজিল হওয়ার পর এই দোয়াটা বেশি পড়তেন? উত্তর হচ্ছে, সুরা নাসরে আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ (সা.) কে আদেশ করেছেন উচ্চারণ : ফাসাব্বিহ’ বিহা’মদি রাব্বিকা ওয়াস্তাগফিরহু, ইন্নাহু কানা তাওয়্যাবা। অর্থ : অতএব, আপনি আপনার পালনকর্তার ‘হামদ’ (প্রশংসা সহকারে) ‘তাসবিহ’ (পবিত্রতা) বর্ণনা করুন এবং ওয়াস্তাগফিরহু (তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, কারণ) নিশ্চয় তিনি হচ্ছেন ‘তাওয়্যাবা’ (তওবা কবুলকারী)।
এ আয়াতের ওপর আমল করার জন্য তিনি রুকু ও সিজদায় বেশি বেশি এই দোয়াটা পড়তেন।
উচ্চারণ : সুবহা’নাকা আল্লা-হুম্মা রব্বানা ওয়া বিহা’মদিকা আল্লা-হুম্মাগফির লী। অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের রব! আপনার প্রশংসাসহ আপনার পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। (আবু দাউদ : ৮৭০; তিরমিজি : ২৬২)।
সুবহা’নাকা পবিত্রতা ঘোষণা করছি। রাব্বানা হে আমাদের রব, ওয়া এবং, বিহা’মদিকা প্রশংসা সহকারে। আল্লাহুম্মা হে আল্লাহ! মাগফিরলি তুমি আমাকে ক্ষমা করো।
সুতরাং রুকুতে সুবহা’না রাব্বিয়াল আ’যীম বা সিজদায় সুবহা’না রাব্বিয়াল আ’লা ৩/৫/৭ বার পড়ে পরে এ দোয়া পড়তে পারেন, ১/২/৩ আপনার যত বার ইচ্ছা। যে কোনো রুকু-সিজদাতেই পড়তে পারেন, আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী।
এছাড়া মাঝেমধ্যে এ দোয়াটাও করতে পারেন রুকু এবং সিজদা উভয় জায়গাতেই : ‘সুব্বূহুন কুদ্দূসুন রব্বুল মালা-ইকাতি ওয়াররূহ।’ অর্থ : ‘(তিনি-আপনি) সম্পূর্ণরূপে দোষ-ত্রুটিমুক্ত, অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত, ফেরেশতাগণ ও রুহ এর রব।’ (মুসলিম : ৪৮৭; আবু দাউদ : ৮৭২)।
আলোকিত ডেস্ক