২০১৮ সালে ইজতেমার মাঠে সাদপন্থিদের হামলার বিচার দাবি

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর বিশ্ব ইজতেমার মাঠে মাওলানা সাদপন্থিদের হামলায় অনেক মাদরাসার ছাত্র ও সাধারণ মুসল্লি আহত হয়েছিলেন। সেই ঘটনার ছয় বছর পূর্তিতে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন আলেমরা। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের মওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে উলামা-মাশায়েখ বাংলাদেশের আয়োজনে ‘১ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে ওলামা-তোলাবা ও তাবলিগের নিরীহ সাথীদের ওপর সাদপন্থিদের নগ্ন হামলার বিচারের দাবিতে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তারা। লিখিত বক্তব্যে মুফতি আমানুল হক বলেন, দিল্লির মাওলানা সাদ সাহেবের অনুসারী তথা সাদপন্থি নেতা ওয়াসিকুল ইসলামের কথায় ময়দানে প্রস্তুতিতে কর্মরত নিরীহ নিরস্ত্র সাধারণ মুসল্লি তাবলিগের সাথী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমাদের সাথীরা সেদিন পূর্ণভাবে আমল করে আসছিলেন। সাথীদের হাতেও সেদিন তাসবিহ ছিল। মেহনতের মধ্যে পাহারার সাথীদের হাতে একটি বাঁশ থাকে। এটা নিদর্শন। কিন্তু আমাদের সাথীদের হাতে সেদিন তাসবিহ ছিল। ময়দানের পূর্ব পাশে সাদপন্থিদের নৃশংস আক্রমণে আমাদের অন্তত পাঁচ হাজার নিরস্ত্র সাধারণ মুসল্লি তাবলিগের সাথী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সেদিনের ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারা লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে। তাদের থেকে টঙ্গী ময়দানের পশ্চিম উত্তর কোণে অবস্থিত কোমলমতি ছাত্র-শিক্ষকদের কেউই রেহাই পায়নি। আমরা বলতে পারি, এই ঘটনায় আওয়ামী সরকার প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আমরা চাই এই সরকার এই হামলার যথাযথ তদন্ত করে দ্রুত ন্যায়বিচার করবে। মুফতি আমানুল হক বলেন, আজকের বৈষম্যবিরোধী প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি হলো, সারাদেশ থেকে কীভাবে হাজার হাজার সাদপন্থি সন্ত্রাসী ঢাকায় জড়ো হলো? এবং কীভাবে টঙ্গীতে একত্র হলো? তা আপনারা তদন্ত করে খতিয়ে দেখুন, প্রকৃত সত্য জাতির সামনে পেশ করুন এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করুন।