ঢাকা ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আলোচনা সভায় বদিউল আলম মজুমদার

নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ

নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক এবং নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হওয়ার কথা কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এটি নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন করতে হলে নিয়োগ পদ্ধতি বদলাতে হবে, আইনকানুন পরিবর্তন করতে হবে। যারা অন্যায় করেছে তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রগুলো নিয়ে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) ধারাবাহিক আয়োজন ‘গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য সংলাপ: সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান প্রসঙ্গ’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করা হয়। সংলাপটি পরিচালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা সংসদে ১০০টি আসন সংরক্ষিত নারীদের জন্য বরাদ্দ করার প্রস্তাবনা দিয়েছি, যেন নারীরা বৈষম্যের স্বীকার না হয়। নারীরা যদি রাজনীতিতে সক্রিয় থাকে তাহলে বৈষম্য কমে আসবে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে যেভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে, তা ত্রুটিপূর্ণ। এজন্যই নিয়মকানুন ও সংস্কার দরকার এবং নতুন আইনের খসড়া দরকার। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হওয়ার কথা কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এটি নির্বাহী বিভাগের আজ্ঞাবহ একটি প্রতিষ্ঠান। গণতান্ত্রিক পুনর্গঠন করতে হলে নিয়োগ পদ্ধতি বদলাতে হবে, আইনকানুন পরিবর্তন করতে হবে। যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। আমাদের বর্তমান সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে। যত দ্রুত নির্বাচন সংক্রান্ত আইনগুলো অধ্যাদেশ আকারে জারি করে কার্যক্রম শুরু করা যায়, তত দ্রুত নির্বাচন হবে।

সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, সংস্কার শব্দটি ঘৃণিত শব্দে পরিণত হয়েছে। সংস্কার জরুরি। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া। বাংলাদেশ গত ৫৩ বছরে প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করতে পারেনি। আমাদের আগে নজর দিতে হবে সঠিক ব্যবস্থা করার। নেতা ভুল করতে পারে কিন্তু সিস্টেম ঠিক থাকলে শোধরানোর সুযোগ থাকে।

সংলাপে আলোচকের মধ্যে আরো জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ বলেন, আমরা স্ববিরোধিতায় সংকোচিত হচ্ছি। স্ববিরোধিতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সংবিধানের আওতায় জনগণের সব জানার অধিকার আছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নিয়মতান্ত্রিক হতে হবে। রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করতে হবে। ন্যায়পাল প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

সাবেক রাষ্ট্রদূত এম শফিউল্লাহ বলেন, বিগত বছরে আমরা দেখেছি যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। রাষ্ট্রপতিকে জনগণ নিয়োগ দেবে। তাহলে রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হবে। বর্তমানে কোনো দলের ম্যান্ডেট নেই। সঠিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন আমাদের দরকার বিশ্বে পরিচিতি পেতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত