গৃহহীনদের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে উচ্ছেদের অঙ্গীকার ট্রাম্পের

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীনদের উচ্ছেদের অঙ্গীকার দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত রোববার ট্রাম্প বলেছেন, গৃহহীনদের অবশ্যই সরিয়ে নিতে হবে। কারণ তিনি শহরের অপরাধ মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে ওয়াশিংটনের মেয়র দাবি করেছেন, বর্তমানে অপরাধ বৃদ্ধির কোনো ঘটনা ঘটছে না। তারপরও প্রশাসন ওয়াশিংটনে শত শত ন্যাশনাল গার্ড সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা। গত রোবববার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, ‘গৃহহীনদের অবিলম্বে সরিয়ে নিতে হবে। আমরা আপনাদের থাকার জায়গা দেব, তবে রাজধানী থেকে অনেক দূরে। অপরাধীদের সরিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আপনাদের জেলে পাঠাব, যেখানে আপনারা থাকার যোগ্য।’ তাঁবু ও আবর্জনার ছবি পোস্ট করে তিনি আরও লেখেন, ‘কোনো ভদ্রলোক ভাব দেখানো হবে না। আমরা আমাদের রাজধানী ফিরে চাই। এই বিষয়ে আপনার মনোযোগের জন্য ধন্যবাদ!’ গত সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের আগাম ঘোষণা দেন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যেখানে তিনি শহরটিকে ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে নিরাপদ ও আরও সুন্দর’ করার পরিকল্পনা তুলে ধরবেন। তবে ডেমোক্র্যাট মেয়র মুরিয়েল বাউসার রাজধানীকে বাগদাদের সঙ্গে তুলনা করায় হোয়াইট হাউজের সমালোচনা করেছেন। বলেছেন, ‘আমরা কোনো অপরাধ বৃদ্ধির সম্মুখীন হচ্ছি না।’ ট্রাম্প গত মাসে এক আদেশে গৃহহীনদের গ্রেপ্তার করা সহজ করেন। গত সপ্তাহে তিনি ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নামানোর নির্দেশ দেন। প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনার সুনির্দিষ্ট বিবরণ এখনও জানা যায়নি। তবে ২০২২ সালের এক ভাষণে তিনি প্রস্তাব করেছিলেন গৃহহীনদের শহরের বাইরে সস্তা জমিতে উচ্চমানের তাঁবুতে স্থানান্তরিত করা হবে, যেখানে থাকবে বাথরুম ও চিকিৎসা সেবা। এদিকে ন্যাশনাল পাবলিক রেডিওকে এক হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার রাতে সর্বোচ্চ ৪৫০ জন ফেডারেল কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছিল। এই পদক্ষেপ আসে এমন এক ঘটনার পর, যেখানে ওয়াশিংটন ডিসিতে সরকারি কার্যকারিতা বিভাগে কাজ করা ১৯ বছর বয়সি এক সাবেক কর্মচারীকে কথিত গাড়ি ছিনতাই চেষ্টায় হামলার শিকার হতে হয়। ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে ওই ঘটনার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং রক্তাক্ত ভুক্তভোগীর ছবি পোস্ট করেন। তবে গত রবিবার এমএসএনবিসিকে মেয়র বাউসার বলেন, এটি সত্য যে ২০২৩ সালে আমরা অপরাধ বৃদ্ধির এক ভয়াবহ সময় পেরিয়েছি। তবে এখন ২০২৩ নয়। আমরা গত দুই বছর ধরে শহরে সহিংস অপরাধ কমিয়ে এনেছি, ৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। ওয়াশিংটন ডিসির মাথাপিছু হত্যার হার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শহরের তুলনায় তুলনামূলকভাবে বেশি।