যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা গাজায়
প্রকাশ : ২০ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
টানা ২২ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা গাজা যুদ্ধের অবসান চেষ্টায় কিছুটা অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। মধ্যস্থতাকারী মিসর ও কাতারের প্রস্তাবিত নতুন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে হামাস। গত সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে সংগঠনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। সূত্র জানায়, হামাস ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে এবং মধ্যস্থতাকারীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি দুই ধাপে বন্দিদের মুক্তির বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে ফিলিস্তিনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে এখনও ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। হামাসের উচ্চপর্যায়ের এক কর্মকর্তা আল-মায়াদিনকে জানান, প্রস্তাব অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনী উত্তর ও পূর্ব গাজার কিছু অংশ থেকে এক কিলোমিটার পিছু হটবে, তবে উত্তরের আল-শুজাইয়া ও বেইত লাহিয়া এলাকা এ প্রত্যাহারের আওতামুক্ত থাকবে। তিনি আরও জানান, চুক্তির আওতায় ১০ জন জীবিত ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির পরিবর্তে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৪০ জন এবং ১৫ বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত ৬০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। তাছাড়া গাজা থেকে আটক দেড় হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রস্তাবে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ইসরায়েলি বন্দির লাশ ফেরতের বিনিময়ে ১০ জন ফিলিস্তিনির লাশ ফেরত দেওয়া হবে এবং একইসঙ্গে সব বন্দি নারী ও শিশুকে শর্তহীনভাবে মুক্তি দিতে হবে। ওই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রস্তাবে উত্তর ও পূর্ব এলাকার পুনরায় মোতায়েনের মানচিত্র সংশোধনের কথাও বলা হয়েছে এবং ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির চুক্তি অনুযায়ী গাজা উপত্যকায় সমন্বিত ও বিস্তৃত হারে ত্রাণ পাঠানো হবে। মানবিক সহায়তার মধ্যে জ্বালানি, পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ, হাসপাতাল ও বেকারিগুলোর পুনর্বাসন এবং ধ্বংসাবশেষ সরানোর জন্য ভারী যন্ত্রপাতিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘ এবং এর সহযোগী সংস্থা, রেড ক্রিসেন্ট এবং গাজায় কর্মরত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ত্রাণ গ্রহণ ও বণ্টনের দায়িত্ব পালন করবে। ওই সিনিয়র কর্মকর্তা আরও জানান, প্রস্তাব অনুযায়ী দক্ষিণ গাজার রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং আগের চুক্তি অনুযায়ী দুই দিকেই চলাচলের জন্য পুনরায় খুলে দেওয়া হবে।
