কক্সবাজার সৈকত থেকে মুশফিকুর রহিমের স্বজনের লাশ উদ্ধার

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কক্সবাজার অফিস

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের লাবণী পয়েন্টে গোসলে নেমে নিখোঁজ কলেজছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার ভোর সোয়া ছয়টার দিকে জেলার সমিতিপাড়া সৈকতে ভেসে আসা লাশটি উদ্ধার করা হয়। ওই কলেজছাত্রের নাম জুহায়ের আয়মান (১৭) । তিনি ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের খালাতো ভাই মো. শরিফুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত রোববার বেলা তিনটার দিকে গোসলে নেমে নিখোঁজ হন আয়মান। তাঁর বাড়ি বগুড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাটনারপাড়া এলাকায়। পরে ভোরে স্থানীয় জেলেরা বালুচরে লাশ পড়ে থাকতে দেখে বেসরকারি সি-সেফ লাইফগার্ডের সদস্যদের খবর দেন। এরপর ফায়ার সার্ভিস লাইফগার্ড ও বিচ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন।

লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান। তিনি বলেন, নিহতের মামা মো. মোজাহিদুর রহিম লাশ শনাক্ত করেছেন। পরিবারের আবেদনে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ নিয়ে স্বজনেরা বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, নিহত কলেজছাত্র ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিমের স্বজন। তবে তিনি বিস্তারিত জানাতে পারেননি। পরে নিহতের মামা মো. মোজাহিদুর রহিম বলেন, এইচএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আয়মানসহ তাঁরা গত বৃহস্পতিবার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কক্সবাজার বেড়াতে এসেছিলেন। আয়মান মুশফিকুর রহিমের খালাতো ভাইয়ের ছেলে।সি-সেফ লাইফগার্ডের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, ঢেউয়ের ধাক্কায় গতকাল তিনজন সাগরে ভেসে যান। লাইফগার্ড ও জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীরা তল্লাশি চালিয়ে দুজনকে উদ্ধার করেন। তবে আয়মানের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর একাধিক দ্রুতগতির জলযান গভীর রাত পর্যন্ত সাগরের কয়েক কিলোমিটারে তল্লাশি চালিয়েও আয়মানের খোঁজ মেলেনি।

ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, সৈকতের লাবণী থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার সৈকতের কয়েকটি স্থানে গুপ্ত খাল রয়েছে। গুপ্ত খাল এলাকার পানিতে নামতে নিষেধ করে বালুচরে একাধিক লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছে।