কম্পিউটার ধীরগতি?
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রযুক্তি ডেস্ক
কাজ কিংবা বিনোদনের মাঝখানে সবচেয়ে বিরক্তিকর জিনিসগুলোর একটি হলো ধীরগতির কম্পিউটার। দিনভর ব্রাউজিং, স্ট্রিমিং বা একসঙ্গে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের পর এমনটা প্রায় সবার সঙ্গেই ঘটে। হঠাৎ করেই কম্পিউটারের ফ্যান অবিরাম ঘুরতে থাকে, অ্যাপ্লিকেশনগুলো বারবার ফ্রিজ বা ক্র্যাশ করে, এমনকি ওয়েবসাইট লোড হতে বা ডকুমেন্ট সেভ হতেও অস্বাভাবিক সময় নেয়। অনেকেই প্রশ্ন করেন ‘আমার কম্পিউটার এত স্লো কেন?’ আর এর উত্তর ও সমাধান আসলে খুব দূরে নয়। প্রযুক্তি সাইট ‘হাও স্টাফ ওয়ার্কস’ লিখেছে, কিছু কারণ রয়েছে যেগুলোয় খেয়াল রাখলে কম্পিউটার ধীর হওয়া থেকে কিছুটা রক্ষা করা সম্ভব। এগুলো হলো-
র্যাম ফুরিয়ে আসা : টেক বিশেষজ্ঞ এবং অভিজ্ঞ ব্যবহারকারীরা বলছেন ধীরগতির প্রধান কারণগুলোর একটি হলো র্যাম বা র্যান্ডম অ্যাকসেস মেমোরি কমে যাওয়া।
হার্ড ড্রাইভ পূর্ণ হয়ে যাওয়া : কম্পিউটার ধীরগতিতে চলার আরেকটি সাধারণ কারণ হলো হার্ড ড্রাইভ পূর্ণ হয়ে যাওয়া। হার্ড ড্রাইভকে সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি মেমোরি হিসেবে দেখা হয় কিন্তু এটি কেবল স্থায়ী ডেটা সংরক্ষণেই ব্যবহার করা হয় না, অস্থায়ী ফাইলও এখানে সেইভ হয় যা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন মসৃণভাবে চালাতে সাহায্য করে। যদি হার্ড ড্রাইভ প্রায় পূর্ণ হয়ে যায়, তবে কম্পিউটার স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না। বিশেষজ্ঞদের মতে, মসৃণভাবে কাজ চালানোর জন্য হার্ড ড্রাইভের অন্তত ২০ শতাংশ জায়গা ফাঁকা রাখা উচিত।
পুরোনো সফটওয়্যার ব্যবহার : পুরোনো সফটওয়্যারও কম্পিউটার ধীরগতির আরেকটি কারণ। অ্যাপল বা মাইক্রোসফট নতুন অপারেটিং সিস্টেম রিলিজ করলে মূলত নতুন ফিচারের প্রচার করা হয় কিন্তু নিয়মিত আপডেটগুলোতে থাকে গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা প্যাচ ও পারফরম্যান্স ফিক্স। এসব আপডেট না করলে কম্পিউটার ধীরে চলে। সমাধান হিসেবে নিশ্চিত হতে হবে যে, সর্বশেষ অপারেটিং সিস্টেম আপডেট ইনস্টল করা আছে। উইন্ডোজে সেটিংস> আপডেট অ্যান্ড সিকিউরিটি> উইন্ডোজ আপডেটে গিয়ে, আর ম্যাক-এ সিস্টেম প্রেফারেন্সেস> আপডেটস এ গিয়ে, আর ক্রোমবুকে সেটিংস> অ্যাবাউট ক্রোমওএস থেকে আপডেট চেক করা যায়।
ভাইরাস আক্রমণ : কম্পিউটার ধীর হয়ে যাওয়ার আরেকটি কারণ হলো ভাইরাস বা ম্যালওয়্যারের সংক্রমণ। ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা ভাইরাস কম্পিউটারের ভেতরে ঢুকে গেলে তা ব্যাকগ্রাউন্ডে অযাচিত প্রক্রিয়া চালিয়ে র্যাম ও প্রসেসরের ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে এবং স্বাভাবিক কাজকে ধীর করে দেয়। এ ধরনের সমস্যার জন্য বিশেষজ্ঞরা সবসময় অ্যান্টিভাইরাস বা অ্যান্টিম্যালওয়ার সফটওয়্যার ব্যবহারের পরামর্শ দেন। এসব প্রোগ্রাম নিয়মিত স্ক্যান চালিয়ে সন্দেহজনক ফাইল, বট এবং ক্ষতিকর সফটওয়্যার খুঁজে বের করে। তবে কেবল সফটওয়্যার ব্যবহার করলেই হবে না সেটি নিয়মিত আপডেট রাখাও জরুরি। অনেক সময় পুরোনো অ্যান্টিভাইরাসই উল্টো কম্পিউটারকে ধীর করে ফেলে কারণ তারা ঠিকভাবে কাজ করতে না পেরে নিজেই সিস্টেমের ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে।
