সীতাকুণ্ডে হামলা করতে আসা সশস্ত্র ব্যক্তিদের ঘেরাও করে পিটুনি, একজনের মৃত্যু

প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর অলিনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি দেশি অস্ত্র ও বন্দুক নিয়ে গতকাল শনিবার ভোরে হামলা চালায় প্রতিপক্ষের দোকান ও স্থাপনায়। এসময় প্রতিপক্ষের লোকজন হামলাকারীদের ঘেরাও করে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে পিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হামলা করতে আসা আরও ১৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল ভোর চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটলেও বিকালে তা জানাজানি হয়। সংঘর্ষে আহত ১৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে হতাহত ব্যক্তিদের নামণ্ডপরিচয় পাওয়া যায়নি।

হামলাকারীদের নিয়ে আসা একটি দেশে তৈরি এলজি, আটটি শটগানের গুলি, দুটি পিস্তলের ম্যাগাজিন, একটি চাপাতি, একটি লোহার হাতুড়ি ও তিনটি পিস্তলের গুলি উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন স্থানীয় লোকজন। ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, ভোর চারটার দিকে রোকন উদ্দিন নামের যুবদল নেতার অনুসারী লোকজন সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর গ্রামের অলিনগর এলাকায় অতর্কিতে হামলা চালান। এসময় তারা বিভিন্ন দোকানপাট চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করেন। এসময় সেখানে থাকা সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ভাঙচুর চালান। মূলত ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের উদ্দেশ্যে এমন হামলা বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

পুলিশ পরিদর্শক সোহেল রানা আরও বলেন, হামলাকারী দলের ৫০ থেকে ৬০ জন লোক ছিলেন। হামলার পর ওই এলাকার নেতা মো. ইয়াসিনের নেতৃত্বে একটি দল হামলাকারীদের চারিদিক থেকে ঘেরাও করে অন্তত ১৫ জনকে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদের মারধর করা হয়। মারধরের কারণে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন। গুরুতর আহত হন অন্তত ১৪ জন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। আহত হামলাকারীরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা নিচ্ছেন। সোহেল রানা বলেন, পাল্টা আক্রমণে আহত ১৫ জন থেকে একটি দেশে তৈরি এলজি, ৮টি শটগানের গুলি ২টি পিস্তল ম্যাগাজিন, ১টি চাপাতি, একটি লোহার হাতুড়ি ও পিস্তলের ৩টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন কোনো পক্ষ মামলা দিলে সেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানতে চাইলে উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন বলেন, ভুমিদস্যু ইয়াসিনের লোকজন ছিন্নমূল এলাকা থেকে স্থানীয় ১৫ জন বাসিন্দাকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেদম মারধর করে। তাদের মারধরে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে।