গুম-খুন নিয়ে ডকুমেন্টারির শুটিংয়ে সালাহউদ্দিন আহমদ

প্রকাশ : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিলেট ব্যুরো

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-খুন নিয়ে ডকুমেন্টারির একটি শুটিংয়ে অংশ নিতে সিলেটে পৌঁছেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

এসময় সিলেট বিএনপির নেতারা তাকে স্বাগত জানান। পরে বিমানবন্দর থেকে তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট তামাবিল স্থলবন্দরে যান। ২০১৫ সালের ১০ মে সন্ধ্যায় তাকে এই পথে ভারতের শিলং নেওয়া হয় বলে দাবি করেন সালাহউদ্দিন আহমদ। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম-খুন নিয়ে ডকুমেন্টারি করা হচ্ছে। সেই ডকুমেন্টারির অংশের শুটিংয়ে অংশ নিতে তিনি তামাবিল সীমান্তে যান। সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, সালাহউদ্দিন দলীয় কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে সিলেটে আসেননি। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়ার ঘটনায় সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এবং গুম কমিশনের উদ্যোগে একটি ডকুমেন্টারির শ্যুটিংয়ে অংশ নিতে তিনি এসেছেন। এসময় তিনি ২০১৫ সালে তার গুম হওয়ার ঘটনার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদকে চোখ বেঁধে কাদামাটি দিয়ে হাটিয়ে নেওয়া হয়েছিল, এক পর্যায়ে তাকে সিঁড়ি বেয়ে কোনো উঁচু জায়গায় উঠিয়ে বাড়িতে রাখা হয়েছিল। সেখানে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা ইংরেজিতে এবং সোলজাররা হিন্দি ভাষায় কথা বলেছিলেন সে বিষয়গুলো তিনি জানিয়েছেন।

২০১৫ সালের ১০ মার্চ গুম হওয়ার ৬৩ দিন পর তাকে ভারতের শিলংয়ে পাওয়া যায়। শিলংয়ে আইনি জটিলতা ও মামলা মোকাবিলা করার কারণে তিনি প্রায় ৯ বছর সেখানে অবস্থান করেন। দেশে ফেরার পথ সুগম হয় ৫ আগস্ট, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১১ আগস্ট তিনি দেশে ফেরেন।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গুমের ঘটনার তদন্ত করতে হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিশন গঠন করা হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুলিশ, র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা, গোয়েন্দা শাখা, আনসার ব্যাটালিয়ন, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই), প্রতিরক্ষা বাহিনী, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর (ডিজিএফআই), কোস্টগার্ডসহ দেশের আইন প্রয়োগকারী বা বলবৎকারী কোনো সংস্থার সদস্যের হাতে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান ও তদন্তের জন্য এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।