অনিয়ম প্রমাণ হলে আদানির চুক্তি বাতিল করা হবে

জানালেন উপদেষ্টা

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আদানির সঙ্গে করা চুক্তিতে যদি কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির প্রমাণ মেলে, সরকার তা বাতিলে দ্বিধা করবে না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

গতকাল রোববার সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের অধীনে সম্পাদিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনার লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় কমিটির সঙ্গে সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘চুক্তিতে স্পষ্ট উল্লেখ থাকে যে কোনো দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু যদি প্রমাণিত হয়, তাহলে বাতিল করা সম্ভব। মুখের কথা আদালত মানবে না, যথাযথ কারণ থাকতে হবে।’ কমিটির সদস্য অধ্যাপক মোশতাক হোসেন খান বলেন, ‘এসব চুক্তি সার্বভৌম চুক্তি হওয়ায় ইচ্ছেমতো বাতিল করা যায় না।’ বাতিল করলে আন্তর্জাতিক আদালত থেকে বড় অঙ্কের জরিমানা আসতে পারে বলে জানান তিনি। তিনি জানান, বিদ্যুৎ খাতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে দাম বৃদ্ধিতে। বিদ্যুতের দাম এখন প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি। ভর্তুকি সরালে তা ৪০ শতাংশ ছাড়াবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘২০১১ থেকে ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে চার গুণ, কিন্তু অর্থ পরিশোধ বেড়েছে ১১ গুণের বেশি- ৬৩৮ মিলিয়ন ডলার থেকে ৭.৮ বিলিয়ন ডলার।’ এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কোনো টেকনিক্যাল কারণে নয়, বলেন তিনি।

ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘চুক্তি বাতিলের আইনি কারণ থাকলেও আন্তর্জাতিক আদালতে গেলে পাঁচ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত দাবি উঠতে পারে। তাই সরকারকে ঝুঁকি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’ বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।