সওজের ৩৫ কোটি টাকার প্রকল্পে ঘুচবে সাজেক ও দীঘিনালাবাসীর ভোগান্তি

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বাসস

খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-সাজেক সড়কের উন্নয়নে ৩৫ কোটি টাকার সংস্কার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এ উদ্যোগের ফলে খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-সাজেক সড়কে যাতায়াতে তিন দশকের বেশি সময় ধরে চলা ভোগান্তির অবসান হতে চলেছে। সরু ও অতি বাঁকের কারণে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছিল এ সড়কটি। ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটত ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

খাগড়াছড়ি সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা-সাজেক সড়ক প্রশস্তকরণে ৩৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার সংস্কার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সওজ। এরইমধ্যে দরপত্র শেষে কার্যাদেশও দেওয়া হয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণ কাজ শুরু হয়েছে। সবকিছু অনুকূল থাকলে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে সড়কটির সম্প্রসারণ কাজ শেষ হবে।

তিনি বলেন, ‘খাগড়াছড়ি-দীঘিনালার রাস্তাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। রাস্তাটি দিয়ে ছোট-বড় যানবাহনের পাশাপাশি অনেক পর্যটকবাহী যানও চলাচল করে। তাই দুর্ঘটনা রোধে জেলা সদরের খাগড়াপুর থেকে দীঘিনালা বাস স্টেশন পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করা হবে।’

খাগড়াছড়ি সওজ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮০ সালে নির্মিত এসব সড়ক অপ্রশস্ত হওয়ায় যান চলাচল ব্যাহত হয়। উঁচু-নিচু সরু সড়কে ট্রাক, বাস ও পর্যটকবাহী যানবাহন চলাচলে ভোগান্তিতে পড়ে চালক ও যাত্রীরা। সাজেকগামী পর্যটকবাহী যানবাহন সড়কে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়ায় বেড়েছে ভোগান্তিও। যার কারণে আঁকাবাঁকা সরু সড়কে যাতায়াতে সময় লাগে বেশি। সড়ক ছোট হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলেও বিঘ্ন ঘটে। সড়ক প্রশস্তকরণ স্থানীয় মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল। অবশেষে সড়কটির দুই পাশে ছয় ফুট বড় করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাজেক পর্যটন কেন্দ্রসহ দীঘিনালা, বাঘাইছড়ি ও লংগদু উপজেলার মানুষও এই পথে যাতায়াত করে। কিন্তু ১২ ফুট প্রশস্ত ১৮ কিলোমিটারের এ সড়কে বাঁক রয়েছে ৫২টি। ভৌগোলিক গঠনের কারণে খাগড়াছড়ির অধিকাংশ সড়ক আঁকাবাঁকা।

দীঘিনালা হাসিনসনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা প্রতিভা ত্রিপুরা বলেন, ‘বাচ্চাকে রাস্তার পাশ দিয়ে স্কুলে আনা-নেওয়ার সময় ভয়ে থাকি। সরু রাস্তায় দুইটা গাড়ি আসলে সাইড দিতে গিয়ে রাস্তার বাইরে নেমে যেতে হয়। রাস্তাটা প্রশস্ত হলে রাস্তার পাশ ধরে আমরা সাধারণ পথচারীরা হাঁটতে পারতাম। বাচ্চাদের নিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করতেও স্বস্তি পেতাম।’