আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
‘রাজসাক্ষী’ হিসেবে আরেক পুলিশ সদস্যের জবানবন্দি
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এবার অ্যাপ্রুভার বা রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবজালুল হক। তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ঢাকার আশুলিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় আশুলিয়ায় ছয়জনকে গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গতকাল বুধবার সাবেক এসআই শেখ আবজালুল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এ ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। এ নিয়ে দ্বিতীয় কোনো পুলিশ সদস্য মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ হলেন। এর আগে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলায় ‘অ্যাপ্রুভার’ হন।
মামুনের সঙ্গে ওই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানও আসামি ছিলেন। মামলাটির রায় ঘোষণা হয় গত সোমবার। রায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড এবং মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো : আশুলিয়ায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি ১৬ জন। এর মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ, এএসআই বিশ্বজিৎ সাহাসহ আট আসামি পলাতক। গ্রেপ্তার হওয়া বাকি আসামিরা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী ও মো.শহিদুল ইসলাম (সাভার সার্কেল); ঢাকা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল মালেক, আরাফাত উদ্দীন, কামরুল হাসান ও শেখ আবজালুল হক এবং সাবেক কনস্টেবল মুকুল চোকদার। এ মামলার ২৩তম সাক্ষী হিসেবে গতকাল জবানবন্দি দেন শেখ আবজালুল। তিনি জবানবন্দিতে বলেন, ৫ আগস্ট (২০২৪ সাল) আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আশুলিয়া এলাকায় ছাত্র-জনতা বিজয় মিছিল বের করেন। সেই মিছিল থানার দিকে এলে তৎকালীন ওসি সায়েদের নির্দেশে বিশ্বজিৎসহ আরেকজন গুলি করেন। জবানবন্দি শেষে আবজালুলকে জেরা করেন এ মামলার আসামি আবদুল্লাহিল কাফীর আইনজীবী সৈয়দ মিজানুর রহমান। তাঁর প্রশ্নের জবাবে আবজালুল বলেন, গত বছরের ১৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার অস্ত্রাগারের দায়িত্বে থাকা এসআই আউয়ালের কাছে তিনি অস্ত্র ও গুলি জমা দেন। ৫ আগস্ট (২০২৪ সাল) তার নামে ইস্যু করা ১০টি গুলিই জমা দেন।
জেরায় প্রশ্নের জবাবে আবজালুল বলেন, গত বছরের ৫ থেকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত তিনি ‘ট্রমায়’ ছিলেন। ১৫ আগস্ট অস্ত্র জমা দিতে এসে তিনি আশুলিয়া থানা এলোমেলো অবস্থায় দেখেন।
