নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত মামদানির

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি এই সপ্তাহে আবারও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিউইয়র্ক শহরে এলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তিনি মানবেন, যা তিনি নির্বাচনের আগেই প্রকাশ করেছিলেন। স্থানীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঠিক এই সময়ে বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামস নেতানিয়াহুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় তাকে মামদানির অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। এবিসি৭-এ সরাসরি সম্প্রচারে মামদানি নিউইয়র্ক সিটিকে ‘আন্তর্জাতিক আইনের শহর’ বলে বর্ণনা করে বলেন, শহরটি আইসিসির ২০২৪ সালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা যেখানে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বেসামরিক লোকদের ওপর ইচ্ছাকৃত হামলা ও যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অনাহার ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে সম্মান করবে। তিনি বলেন- আমি বারবার বলেছি, এটি আন্তর্জাতিক আইনের শহর। আর আন্তর্জাতিক আইনের শহর বলতে আন্তর্জাতিক আইন রক্ষা করা বোঝায়। এর মানে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রক্ষা করা তা সে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হোক বা ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি আরও বলেন, আমরা বৈশ্বিক শহর হলেও নিউ ইয়র্কবাসী যা চায়, তা হলো আমাদের মূল্যবোধের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা ও তার বাস্তবায়ন। তাই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানাগুলো সম্পূর্ণভাবে পরীক্ষা করা এটি বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য সব আইনি সম্ভাবনা খুঁজে দেখা জরুরি। নির্বাচিত হওয়ার আগে অক্টোবর মাসে ফক্স নিউজ-এর ‘দ্য স্টোরি’ অনুষ্ঠানে মার্থা ম্যাকক্যালামকে মামদানি বলেছিলেন, আইনি সুযোগ পেলে তিনি নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবেন, কারণ নিউইয়র্ক ‘এ ধরনের নীতিকে সমুন্নত রাখতে চায়।’ মামদানি আরও বলেন, তিনি এ জন্য নতুন কোনো আইন তৈরি করবেন না এবং একই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো আমি নিরক্ষর নই; আমি বিদ্যমান আইনের সীমার মধ্যেই থাকতে চাই। তিনি বলেন, আমি সব আইনি সম্ভাবনা ব্যবহার করব, নিজের আইন তৈরি করব না।’ তিনি স্বীকার করেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসি চুক্তির স্বাক্ষরকারী নয়, তবে শহরটির উচিত আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নের চেষ্টা করা যতক্ষণ তা দেশের বিদ্যমান সব আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে। এই ঘোষণার সময়ই বিদায়ী মেয়র এরিক অ্যাডামস ইসরায়েলি নেতার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। ইসরায়েল হায়োমণ্ডএ দেওয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাডামস বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রীকে এই শহরে আসা উচিত। তিনি মামদানির অভিষেক অনুষ্ঠানে সিটি কাউন্সিলের সামনে ১ জানুয়ারি উপস্থিত হয়ে শুরু করতে পারেন এটি যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে বৃহত্তম ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য শক্তিশালী বার্তা দেবে। এবিসি৭-এ সাক্ষাৎকারে মামদানি নিউইয়র্কের ইহুদি সম্প্রদায়কে সুরক্ষা ও সমর্থনের প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।