ধর্ম ছাড়া শিক্ষায় মানুষ বিপদগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে

বললেন ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফম খালিদ হোসেন বলেছেন, আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো গেলে সমাজ পরিবর্তন করা যায়। ধর্ম ছাড়া শিক্ষায় মানুষ বিপদগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর ওয়েল পার্ক হোটেলের সভাকক্ষে আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার বার্ষিক মাহফিল ও সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে যারা জয়ী হবেন, তাদের হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করে আমরা বিদায় নেব।

‘পুরনো জাহেলি যুগ আর ফিরে আসবে না’ মন্তব্য করে তিনি বলেন, এদেশকে দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ ও চাঁদাবাজমুক্ত করতে হলে আল্লাহওয়ালাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিতে হবে। অন্তরে যাদের আল্লাহভীতি আছে এবং যাদের চরিত্র ইস্পাতের মতো শক্ত ও অটুট তাদের নির্বাচিত করতে হবে। ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারিতে হোক অথবা দূরবর্তী ভবিষ্যতে হোক বাংলাদেশ একটি আদর্শিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে উঠবে। এজন্য তরুণ ও যুবকদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় ঘটানো গেলে সমাজ পরিবর্তন করা যায়। ধর্ম ছাড়া শিক্ষায় মানুষ বিপথগামী হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশ্বের সকল উন্নত দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপাসনালয় আছে। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে দ্বীনি শিক্ষার সমন্বয় করা না হলে মানুষ অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যেতে পারে। শিক্ষা থেকে ধর্মকে আলাদা করা হলে ডাকাত তৈরি হবে, মাস্তান তৈরি হবে। আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও মাদরাসার প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম আযহারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মু. মমতাজ উদ্দীন কাদেরী, অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির খালভী, উম্মা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুফতি আবুল কালাম আল আজাদ, আল্লামা আবুল খাইর ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুহাইল সালেহ, কোর্টহিল জামে মসজিদের খতিব শয়েখ নাসির উদ্দীন এবং আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার পরিচালক মুফতি মাসউদুর রহমান বক্তব্য দেন। পরে উপদেষ্টা ২০২৫ সালে আসসুন্নাহ মডেল মাদরাসার হিফয বিভাগের বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।