আখেরি মোনাজাতে শেষ হলো চরমোনাই দরবারের তিন দিনের মাহফিল
প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে বরিশালে চরমোনাই দরবার শরিফের তিন দিনব্যাপী মাহফিল শেষ হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে সমাপনী বয়ানের পর কীর্তনখোলার তীরে লাখো মুসল্লির উপস্থিতিতে আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এ মাহফিল শেষ হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম।
মোনাজাতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে হতাহত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করেন চরমোনাই পীর। একই সঙ্গে দেশকে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীদের কবল থেকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের জন্য তিনি শান্তি ও নিরাপত্তা কামনা করেন।
সমাপনী বয়ানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, দুনিয়ার মোহই সব পাপের মূল উৎস। ব্যক্তিজীবনের আর্থিক অনিয়ম থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের মূলে আছে এই দুনিয়ামুখিতা। অথচ দুনিয়া খুবই তুচ্ছ। হায়াত শেষ হলে পৃথিবীর কোনো সম্পদই কারও কাজে আসে না। তাই দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করে আখিরাতমুখী জীবন গড়ার আহ্বান জানান তিনি। চরমোনাই পীর বলেন, ‘মানুষ অহরহ আল্লাহকে ভুলে নাফরমানি করছে। অথচ কবরে গিয়ে আল্লাহর ক্ষমা না পাওয়া পর্যন্ত একজন মানুষের নিজেকে নিকৃষ্ট পশুর মতো মনে করা উচিত। তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জনের মাধ্যমেই মহান রবের সন্তুষ্টি নিয়ে কবরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে হবে, যার অন্তরে আল্লাহর ভয় নেই—সে আলেম, মুফতি কিংবা পীর হলেও তাঁর কোনো মূল্য নেই।’ সমাপনী বয়ানে আত্মশুদ্ধির জন্য আমিত্ব ও আত্মঅহংকার পরিত্যাগ, হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার, রাগ সংযত রাখা, নিয়মিত জিকির, কল্?ব পরিশুদ্ধ করা, গিবতের মতো কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। পাশাপাশি পরিবারে দ্বীনি শিক্ষা নিশ্চিত করা, পর্দা ব্যবস্থা জারি রাখা, নেশাদ্রব্য পরিহার, আল্লাহওয়ালাদের কিতাব পাঠ, হালকায়ে জিকির ও তালিমে নিয়মিত অংশগ্রহণ এবং শুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াতের আহ্বান জানান।
