বাম জোটের যমুনা ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ১২

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দেশের বন্দর নিয়ে করা রাষ্ট্রীয় চুক্তির প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনা ঘেরাও কর্মসূচিতে পুলিশের লাঠিচার্জে বাম সংগঠনের ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে আহত অবস্থা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

আহতরা হলেন, সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রুহুল আমিন(৪৫), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি জহুর লাল রায়(৩৫), ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য অন্ত অবিন্দম(২৫), খিলগাঁও থানার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ রাফিন(২৫), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য রাসেল আহমেদ (২৪), বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য সোয়াইব আহমেদ আসিফ(২৪), বাসদ ও মার্কসবাদী নির্বাহী ফোরামের সদস্য সীমা দত্ত (৫২), সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা মহানগর শাখার সহ-সভাপতি শাহিনুর আক্তার সুমি(২৮), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী (৩০), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক স্বাকাই ইসলাম(২৫), ঢাকা মহানগর গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সদস্য রাকিব আহমেদ ও ঢাকা মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক প্রিজম ফকির। সিপিবি ইকবাল হোসেন জানান, বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে দেশের বন্ধর নিয়ে করা রাষ্ট্রীয় চুক্তির প্রতিবাদে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা ঘেরাও কর্মসূচি ছিল আমাদের। পরে আমরা যমুনা অভিমুখে রওনা দিলে পুলিশ আমাদের বাধা দেয় এবং লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন এলাকায় মিছিল, মিটিং ও সমাবেশ নিষিদ্ধ। যারা কর্মসূচি দিয়েছেন, তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় কথা হয়েছে। তারপরও তারা যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়। এটাকে সেই অর্থে লাঠিপেটা বলা যাবে না। তাদের যমুনার দিকে যেতে বাধা দেওয়া হয়।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, কাকরাইল মোড় থেকে আহত অবস্থায় ১২ জনকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়েছিল। পরে চিকিৎসা শেষে তাদেরকে ছেড়ে দিয়েছেন চিকিৎসক।