গাজায় তীব্র শীতে মারা যাচ্ছে শিশুরা, তবু ত্রাণ ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল
প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
গাজায় তীব্র শীতে নবজাতক ও শিশুরা মারা যাচ্ছে বলে সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসক সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ)। সংগঠনটি বলেছে, ইসরায়েলের ত্রাণ ঢুকতে না দিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। একই সঙ্গে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চলতে থাকায় গাজায় মানবিক সংকট তীব্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছে এমএসএফ। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ২৯ দিন বয়সী শিশু সাঈদ আসাদ আবেদিন তীব্র হাইপোথার্মিয়ায় মারা যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ করে এমএসএফ জানায়, শীতকালীন ঝড় ও আগে থেকেই নাজুক জীবনযাপন পরিস্থিতি একসঙ্গে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চরম আবহাওয়ার কারণে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে দুই সপ্তাহ বয়সী শিশু মোহাম্মদ খলিল আবু আল-খাইর প্রচণ্ড শীতে পর্যাপ্ত আশ্রয় ও উষ্ণ পোশাকের অভাবে মারা যায়। গত ১৩ ডিসেম্বর রাতে খান ইউনিসের পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস্তুচ্যুত ইমান আবু আল-খাইর তার দুই সপ্তাহ বয়সী ছেলে মোহাম্মদকে ঘুমের মধ্যে ‘বরফের মতো ঠান্ডা’ অবস্থায় পান। প্রবল বৃষ্টির কারণে কোনো যানবাহন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত পশু টানা গাড়িতে করে রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যায় ভর্তি করা হলেও দুইদিন পর তার মৃত্যু হয়।
ইমান বলেন, তার সন্তানের কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না, তাঁবুর ভেতরের চরম ঠান্ডাই তার ছোট শরীর সহ্য করতে পারেনি। নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সের মাতৃ ও শিশু বিভাগের প্রধান আহমেদ আল-ফাররা এক ভিডিওবার্তায় বলেন, শিশুদের জন্য হাইপোথার্মিয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক। তিনি সতর্ক করে বলেন, তাঁবুতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য উষ্ণতার ব্যবস্থা, মোবাইল হোম বা ক্যারাভান না দিলে আরও মৃত্যুর ঘটনা ঘটবে। নাসের হাসপাতালে নার্সিং টিমের তত্ত্বাবধায়ক বিলাল আবু সাদা এমএসএফকে জানান, শিশুরা বেঁচে থাকার ন্যূনতম প্রয়োজনীয় জিনিসের অভাবে প্রাণ হারাচ্ছে।
