নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজের সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনায় দেশের শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। ওই কারাখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ না করার বিষয়টা নজরে আনার পর বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার অনিক আর হক ও অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা বাবু। শুনানির শুরুতে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকা-ের ঘটনার পরও বিগত কয়েক মাসের অপরিশোধিত বেতন-ভাতার বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবীরা। শুনানিকালে আদালতে বলেন, বেতন-ভাতার বিষয়টি পত্র-পত্রিকায় দেখেছি। গতকালও অনেকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। আশা করছি, অন্যান্য বেতন-বাতা পরিশোধ করা হবে। শুনানির এক পর্যায়ে আদালত শীর্ষ ব্যবাসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআইসহ অন্যান্য সংগঠনের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের ঘটনায় (সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকা-) শীর্ষ ব্যবসায়িক সংগঠনগুলোর যে বক্তব্য বা ভূমিকা রাখা উচিত ছিল তা দেখা যায়নি। তাদের দেখা যায়, কীভাবে তারা সরকারের থেকে প্রণোদনা নেবেন, ব্যাংক ঋণ কীভাবে মওকুফ করা যাবে এসব বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। কিন্তু এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের বিষয়ে কখনোই কোনো পদক্ষেপ নিতে তাদের দেখা যায় না। এসব শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠানগুলোর তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিষয়ে আদালত বলেন, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের যারা এসব জায়গায় পরিদর্শনে যান, তারা অনেক কিছু বিবেচনা না করেই সুযোগ করে দিচ্ছেন। ঠিকমতো পরিদর্শন না করে খামের বিনিময়ে অনুমতি দিয়ে দিচ্ছেন। এরপর আদালত আহতদের চিকিৎসা বিষয়ে কোনো অবহেলা থাকলে তা জানানোর নির্দেশনা দিয়ে মামলার শুনানি মুলতবি করেন। এর আগে ১১ জুলাই সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকা-ে নিহত ও আহত শ্রমিকদের মৃতদেহ শনাক্তের পূর্বে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়ে এখনই হস্তক্ষেপ করবেন না বলে জানিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।