মাগুরা জেলায় চলতি মৌসুমে কৃষক গমের ভালো ফলনের আশা করছেন, বিশেষ করে উচ্চফলনশীল গম চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের আওতাধীন বাংলাদেশ গম গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবিত গমের পাশাপাশি বিভিন্ন জাতের গম চাষ করছেন কৃষকরা। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে গম চাষ কিছুটা বিঘিœত হলেও এ বছর ২ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে গমের চাষ হয়েছে। মাঠে যে গম রয়েছে তার থেকে ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, মাগুরায় মোট চাষ হওয়া গমের মধ্য সদর উপজেলায় ১ হাজর ৩৯৫ হেক্টর, শ্রীপুরে ১৫০, শালিখায় ১৪০ এবং মহম্মদপুর উপজেলায় ১ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে ৯ হাজার ৩৮৮ টন গম উৎপাদনের সম্ভব্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, এ মৌসুমে ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী ও তাপ সহনশীল বারি গম-৩০, ৩২ ও ৩৩ নামে উচ্চফলনশীল জাতের গম চাষ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বারি জাতের উচ্চফলশীল গমের আবাদ ছাড়াও বিভিন্ন জাতের গমের পাশাপাশি স্থানীয় জাতের গম চাষ করা হয়েছে। বিশেষ করে গম চাষের সময় রোগ বালাইয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য গমের বীজ শোধন করে নেওয়ার জন্য কৃষককে পরামর্শ দেওয়ায় বীজ বাহিত রোগের সংখ্যা অনেকাংশেই কমেছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে কৃষক সময়মতো গমক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাক নাশক ওষুধ স্প্রে করার রোগবালাই দেখা দেয়নি। এ কারণে চাষকৃত জমিতে গমের আবাদ ভালো হয়েছে।
শ্রীপুর উপজেলার গোপালপুর এলাকার চন্দ্রপাড়া গ্রামের কৃষক মোশারফ হোসেন জানান, তিনি ৩৩ শতক জমিতে কৃষি বিভাগের সহায়তায় উচ্চফলনশীল বারি গম-৩২ জাতের প্রদর্শনী প্লট করেছেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে ক্ষেত পরিচর্যা করায় গম ভালো হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে প্রায় ১৮ মণ গম পাবেন বলে আশা করছেন তিনি।
হোগোলডাঙ্গা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় তিনিও ৩৩ শতক জমিতে উচ্চফলনশীল বারি গম-৩২ চাষ করেছেন। মাঠে ফসলের অবস্থা ভালো। চাষকৃত জমিতে ১৫ থেকে ১৮ মণ গম পাওয়ার আশা করছেন তিনি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ বলেন, চার উপজেলায় উচ্চফলনশীল গম চাষে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। চাষকৃত জমিতে চলতি মৌসুমে গমে রোগবালাই তেমন হয়নি। মাঠে ফসলের অবস্থাও মোটামুটি ভালো। খবর : বাসস