বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী আজ
নানা কর্মসূচি, শিলাইদহে মূল অনুষ্ঠান
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২২, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ ২৫ বৈশাখ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী। ১২৬৮ বঙ্গাব্দের এই দিনে কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কালজয়ী এ কবি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর তেমন কোনো অনুষ্ঠান না হলেও এবার জাতীয় পর্যায়ে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।
রাজধানী ঢাকাসহ কবিগুরুর স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার শিলাইদহ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর এবং খুলনার দক্ষিণডিহি ও পিঠাভোগে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় কবিগুরুর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে রবীন্দ্রমেলা, রবীন্দ্রবিষয়ক আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করবে স্থানীয় প্রশাসন।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বাংলা সাহিত্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এক বিস্ময়কর প্রতিভা। বাংলা সাহিত্যকে তিনি তুলে ধরেছেন বিশ্বপরিমণ্ডলে। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, গীতিনাট্যকার, প্রবন্ধকার। সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই যেখানে তিনি বিচরণ করেননি। সাহিত্যের মধ্য দিয়ে তিনি মানবতার জয়গান করেছেন। মনুষ্যত্বের বিকাশ ও মানবমুক্তি ছিল তার জীবনবোধের প্রধানতম দিক।
প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালির চেতনা ও মননের প্রধান প্রতিনিধি। বাংলা সাহিত্যের প্রায় সব শাখাতেই তিনি স্বাতন্ত্র চিহ্নিত নির্দেশকের ভূমিকা রেখেছেন। তিনি আমাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীতস্রষ্টা। চিত্রকর, সমাজচিন্তক এবং মানবতাবাদী দার্শনিক হিসেবেও রয়েছে তার বিশ্বখ্যাতি। বাঙালি জাতীয়তাবোধের অন্যতম রূপকারও তিনি। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকীর মূল অনুষ্ঠান হবে রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়িতে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনা, সংগীতানুষ্ঠান, কবিতা আবৃত্তিসহ তিন দিনব্যাপী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে সেখানে। অনুষ্ঠান সফল করতে এরইমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে কুঠিবাড়িতে।
আজ দুপুর আড়াইটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। স্মারক বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রফেসর সনৎ কুমার সাহা। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় নৃত্যনাট্যসহ ৩০ মিনিটের সাংস্কৃতিক পর্ব থাকবে। প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি রবীন্দ্র সংসদসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের রবীন্দ্রনাথের লেখা গান, কবিতা ও নাটক নিয়ে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। কুঠিবাড়ীর বাইরে বসেছে বিশাল জায়গাজুড়ে গ্রামীণ মেলা। মেলায় নাগর দোলা, চরকি, গরম জিলাপি, রবীন্দ্রনাথের ছবি সম্বলিত ক্যাপ, টি-শার্টসহ হরেক রকমের পসরা। এদিকে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদ?যাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি তিন দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও কবির চিত্রশিল্প প্রদর্শনী এবং কবির উপর নির্মিত ডকুমেন্টারির মাসব্যাপী প্রচারের ব্যবস্থা করবে।
এবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদ?যাপনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমি কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্মরণিকা ও পোস্টার মুদ্রণ করবে। বাংলা একাডেমিসহ সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দপ্তর ও সংস্থাসমূহ এ উপলক্ষ্যে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। তাছাড়া কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালকের তত্ত্বাবধানে ঢাকার রবীন্দ্র সরোবরে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
ঢাকাসহ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হবে। বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করবে। যেসব জেলায় জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে না, সেসব জেলার জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগিতায় কমিটি গঠন করে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করবে। জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি বেতার ও টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ ব্যাপকভাবে সম্প্রচার করবে।
কবিগুরুর ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জাতীয় পর্যায়ের মূল অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানসমূহে ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এসব স্থানের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাছাড়া কবির স্মৃতিবিজড়িত জেলাসমূহসহ সব জেলায় বিশ্বকবির ছবি, কবিতা, পরিচিতি ও চিত্রকর্ম প্রদর্শন এবং বিভিন্ন সড়ক দ্বীপসমূহে ব্যানার, ফেস্টুন, পোস্টার ও ডিজিটাল ডিসপ্লে স্থাপন এবং আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হবে।
নওগাঁর পতিসর কাচারি বাড়ি চত্বরে বিশ্ব কবির জন্মোৎসবের প্রস্তুতি : নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নওগাঁর আত্রাইয়ের পতিসর রবীন্দ্র কাচারি বাড়ি চত্বরে দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় গৃহীত কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন এরইমধ্যে সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, আজ রোববার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী রবীন্দ্র স্মৃতিবিজড়িত পতিসর কাচারি বাড়ি চত্বরে অবস্থিত দেবেন্দ্র মঞ্চে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠানমালা শুরু হবে। এরপর আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হবে। রবীন্দ্র জন্মোৎসবে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘মানবতার সংকট ও রবীন্দ্রনাথ’। অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নওগাঁ-২ (ধামইরহাট-পত্নীতলা) আসনের সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক, নওগাঁ-৫ (নওগাঁ সদর) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল (জন), নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রানীনগর) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক এবং জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাডভোকেট একেএম ফজলে রাব্বী বকু। এ অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ রাজশাহী কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ প্রফেসর ড. মো. আশরাফুল ইসলাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. পিএম সফিকুল ইসলাম, রাজশাহী বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর ড. আলী রেজা আব্দুল মজিদ এবং নওগাঁ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে বিকাল আড়াইটা থেকে শুরু হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ পর্বে পর্যায়ক্রমে আত্রাই উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, রানীনগর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি এবং শেষে নওগাঁ জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে সাং¯ৃ‹তিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে। কবি গুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পতিসর কাচারি বাড়ি চত্বরে বসেছে গ্রামীণ মেলা। সাত দিন পর্যন্ত এ মেলা চলবে। পতিসর কাচারি বাড়ি সংলগ্ন গ্রামগুলোতে এরইমধ্যে হয়ে উঠেছে উৎসবমুখর। এসব গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে বেড়াতে এসেছেন আত্মীয়-স্বজন। বাড়িতে বাড়িতে চলছে বিভিন্ন রকমের খাবারের আয়োজন। করোনাভাইরাসের কারণে বিগত দুই বছর পতিসরে রবীন্দ্র জন্মবার্ষিকীর কোনো অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়নি। এবারের আয়োজনকে ঘিরে এলাকার মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ আর উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শুধু বাঙালিই নন, সব যুগের সব ভাষার বরণীয় কবি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কবিত্ব ও সৃষ্টির সৌন্দর্যে বিশ্বসাহিত্যে স্থায়ী আসন গড়ে নিয়েছেন তিনি। তার লেখার মধ্য দিয়ে পরিপুষ্ট হয়েছে বাংলা সাহিত্যের সব অঙ্গন।
‘যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে...’, এই বিখ্যাত সংগীতসহ ২ হাজার ২৩২টি গানের অধিকাংশই কুষ্টিয়ার শিলাইদহে বসে লিখেছেন কবি গুরু। এখান থেকেই গীতাঞ্জলী অনুবাদ করে ১৯১৩ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম বাঙালি হিসেবে সাহিত্যে অর্জন করেছেন নোবেল পুরস্কার। তার নোবেল বিজয় বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে এনে দেয় গৌরবের মুকুট। এশিয়ার মধ্যে সাহিত্যে নোবেল পাওয়া তিনিই প্রথম লেখক। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়ে- তিনি শিক্ষা গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তার ‘অভিলাষ’ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।
১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। এর চার বছর পর তিনি বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে নাইট উপাধিতে ভূষিত করে। কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন। ১৯৩৭ সালে একবার অচৈতন্য হয়ে গিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা হয়েছিল কবির। সেবার সেরে উঠলেও ১৯৪০ সালে অসুস্থ হওয়ার পর আর তিনি সেরে উঠতে পারেননি। এই সময়পর্বে রচিত রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলো ছিল মৃত্যুচেতনাকে কেন্দ্র করে। মৃত্যুর সাত দিন আগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালে জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
