চলতি পথে রাস্তার ধারে বা বাড়ির আশপাশে কতই না গাছপালা রয়েছে, যার মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটিকে আমারা চিনলেও বেশির ভাগকেই আগাছা বলে থাকি। তবে এসব আগাছার মধ্যে এমন কিছু গাছপালা রয়েছে, যেগুলোর ঔষধি গুণ আমাদের কাছে আজানা। যেমন ধরুন বেতো শাক। বেথে, বেথো, বাথুয়া বিভিন্ন নামে পরিচিত এই শাক। ঔষধি গুণে সমৃদ্ধ বেতো শাক গ্রামের মানুষজনের কাছে পরিচিত হলেও শহরের অধিকাংশ মানুষই এই শাকের সঙ্গে পরিচিত নয়। বেতো শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন ‘এ’, ভিটামিন ‘সি’, পটাশিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, অ্যামাইনো অ্যাসিড, ফসফরাসের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এবার জেনে নেওয়া যাক বেতো শাকের ঔষধি গুণগুলো। অনেক সময় খাবারে অরুচির সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার আগে বেতো শাক খেলে অরুচির সমস্যা দূর হয়। মুখের ভেতরে অনেকেরই ঘা হয়। বেতো শাক চিবিয়ে খেলে বা রস করে খেতে পারলে সেই ঘা সেরে যায়। তবে ঘরোয়া উপায়ে ঘা না কমলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন। পাইলসের সমস্যায় বেতো শাকের রস সামান্য গরম করে দুধে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কিডনিতে স্টোন হলে রোজ ১ কাপ করে বেতো শাকের রস খেলে উপকার পাবেন। লিভারের সমস্যা দূর করতে বেতো শাক দারুণ উপকারি। হেঁচকির সমস্যায় জল বা যে কোনো ঘোলের সঙ্গে বেতো শাকের রস মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাবেন। ত্বকের কোথাও পুড়ে গেলে বা হালকা ফোসকা পড়লে সেখানে বেতো শাক বেটে লাগান। এতে ত্বকের জ্বালা ভাব দূর হবে। শুষ্ক কাশিতে বেতো শাক সেদ্ধ, রস বা তরকারি করে খেলে উপকার পাওয়া যায়। কৃমি হলে বেতো শাক রস করে প্রতিদিন সকালে খেলে এই সমস্যা দূর হবে। প্রস্রাবের সময়ে অনেকেরই জ্বালা করে। এক্ষেত্রে এক কাপ বেতো শাকের রসের সঙ্গে এক চা-চামচ জিরে গুঁড়ো এবং এক টেবল চামচ পাতিলেবুর রস মিশিয়ে শরবত আকারে খান। প্রতিদিন দুই-তিনবার এই শরবত খেলে সমস্যা কমবে।