জবা ফুল অত্যন্ত পরিচিত একটি ফুল। বিভিন্ন রঙের এই ফুল যে বাড়ির বাগানে, কিংবা বনাঞ্চলেও দেখা যায়। উজ্জ্বল, রঙিন ও বড় মাপের এই ফুল ও পাতা ত্বক ও চুলের যে কোনো সমস্যা সমাধানের জন্য মোক্ষম দাওয়াই। জবা ফুল যে ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী তা অনেকেরই জানা। বাগানে অনেকেই বিভিন্ন রঙের জবা ফুল লাগিয়ে চর্চা করেন। হাইড্রক্সি অ্যাসিডে সমৃদ্ধ এই চমৎ?কার ফুল ত্বক ও চুলকে সুস্থ রাখতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জবা ফুলের মধ্যে রয়েছে অ্যামিনো অ্যাসিড, যা চুলের পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অ্যামিনো অ্যাসিড কেরাটিন তৈরি করতে সক্ষম, তাই চুলকে মজবুত করতে ও চুলে ফেটে যাওয়ার মতো সমস্যা থেকে দূর করতে সহায়তা করে। জবা ফুলে প্রচুর পরিমাণ শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ থাকে, যা প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশনার হিসেবে দারুণ কাজ করে। চুলের জেল্লা ফেরাতে ও সিল্কিভাব আনতে শ্যাম্পুর পর এই প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে জবা ফুল ও পাতা ব্যবহার করতে পারেন। কোনো রকম রাসায়নিক ছাড়াই চুল মসৃণ ও চকচকে করতে এই ম্যাজিক ফুলের জুড়ি নেই। অ্যালোপিয়াতে আক্রান্ত পুরুষ ও মহিলাদের জন্য এই ফুল বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, শরীরে অতিরিক্ত তাপের কারণ চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ছয় থেকে আটটি জবা ফুল ও পাতা পিষে মাথার ত্বকের লাগিয়ে ৩ ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করুন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে কয়েক দিন পরই চুল গজাতে দেখা যাবে। এছাড়া চুলের বৃদ্ধির জন্যও এই পেস্ট দারুণ কার্যকরী। জবা ফুলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট; যা ত্বককে দূষণ, ধুলো, সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেতে রক্ষা করে। অকাল বার্ধক্যের প্রবণতা রোধ করতেও জবা ফুলের বিকল্প নেই। এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরির গুণ, যা ত্বকের জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে। সংবেদনশীল ত্বকের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত প্রতিষেধকও বটে।
এতে সামান্য পরিমাণ হালকা অ্যাসিড থাকে, যা ত্বককে এক্সফ্লোয়েট করতে সাহায্য করে। বলিরেখা দূর করতে ও ত্বককে সতেজ করে তুলতে সহায়তা করে। ত্বকে লাবণ্য ও তারুণ্যের ছোঁয়া আনতেও জবা ফুল ও পাতা ব্যবহার অনস্বীকার্য। জবাফুল ও পাতা চা হিসেবে পান করলে ত্বকে আর্দ্রতা ফিরে আসে। প্রাচীনকালে মিশরীয়রা জবা ফুলের চা ব্যবহার করতেন। শরীরে তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে ও হার্ট-স্নায়ুর রোগের মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে ব্যবহার করা হতো এ ফুল। সূত্র : ওয়েবসাইট