বেতন না পাওয়ায় ছয় চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে ফিরেননি
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

ছয় সপ্তাহের বেতন-ভাতা না পাওয়ায় হবিগঞ্জ জেলায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ছয়টি চা-বাগানের প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক কাজে যোগ দেননি। দুই সপ্তাহের মজুরি পরিশোধের কথা দিলেও গত শনিবার পর্যন্ত টাকা না দেয়ায় জেলার মাধবপুরে তেলিপাড়া, জগদীশপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডিছড়া, পারকুল, নাসিমাবাদ ও সাতছড়ি চা-বাগানের শ্রমিকরা কাজে যোগ দেননি। বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে আজ রোববার বকেয়া পরিশোধের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান। জেলার মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন (এনটিসির) ছয়টি চা-বাগানে শ্রমিক সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার ৮৫০ জন। লোকসানে থাকায় ও ব্যাংক ঋণ না পাওয়ার কারণ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ ১২ সপ্তাহ ধরে এসব শ্রমিকের বেতন বন্ধ রাখে। এর মধ্যে বকেয়া পাওয়ার দাবিতে ৬ সপ্তাহ ধরে কাজ করেননি শ্রমিকরা। নৃপেন পাল জানান, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপে গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকদের ২ সপ্তাহের বকেয়া মাথাপিছু ২ হাজার ২০০ টাকা করে পরিশোধ করার কথা। ওই দিনই শ্রমিকদের কাজে যোগ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গতকাল শনিবার পর্যন্ত শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পাননি। এই শ্রমিক নেতা বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহমুদ হাসানের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি জানিয়েছেন, রোববারের মধ্যেই শ্রমিকদের হাতে টাকা পৌঁছাবে। আর তখন থেকেই তারা বাগানে পাতা উত্তোলনের কাজ করবেন। জানা গেছে, এনটিসির মালিকানায় হবিগঞ্জের মাধবপুরে তেলিপাড়া ও জগদীশপুর চা-বাগানে নিয়মিত শ্রমিক সংখ্যা ১ হাজার ৭০০ এবং চুনারুঘাট উপজেলার চন্ডিছড়া, পারকুল, নাসিমাবাদ ও সাতছড়ি বাগানে শ্রমিক রয়েছে আরো ২ হাজার ১৫০ জন। চা উৎপাদনের মৌসুমে শ্রমিক ধর্মঘটে এনটিসির এ ছয়টি বাগানের লোকসান বেড়েছে এবং শ্রমিকরাও বেতন-ভাতা না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
