বিজয় দিবসে জামায়াত-শিবিরের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় উত্তরা-১১ নম্বর সেক্টরের চৌরাস্তায় জমজম টাওয়ারের সামনে থেকে এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামী। শোভাযাত্রাটি আজমপুর গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। শোভাযাত্রায় নেতাকর্মীদের হাতে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দেখা যায়। পতাকা নেড়ে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান তারা।

শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির মোহাম্মদ আব্দুর রহমান মূসা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমির ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য জামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি এ এইচ এম আতিকুর রহমান, জামায়াতে ইসলামী উত্তরা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম, মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, মাজহারুল ইসলাম, আবু সাঈদ, মতিউর রহমান প্রমুখ। এদিকে, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে শাহবাগ গিয়ে শেষ হয় শোভাযাত্রাটি। ঢাকা মহানগর ছাত্রশিবির এর আয়োজন করে।

শোভাযাত্রায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।

শোভাযাত্রা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এ জাতি সামাজিক ন্যায় বিচারের কোনো দৃশ্য এখন পর্যন্ত দেখেনি। সামাজিক অধিকার, মানবিক অধিকার, সাম্য ন্যায় এবং ইনসাফ থেকে এ জাতি বঞ্চিত ছিল। এখনো বঞ্চিত রয়েছে যা আমরা দেখতে দেখতে পদার্পণ করেছি স্বাধীনতার ৫৪ বছরের পদার্পণ করেছি।

তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার মূল কথা ছিল ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে পরিচালনা করা; কিন্তু সেই ঐক্য বিনষ্টে আওয়ামী দুঃশাসন বাকশাল স্বৈরশাসক এদেশের মানুষের মধ্যে এক বিভেদের দেয়াল চাপিয়ে দিয়ে এই জাতিকে খণ্ড-বিখণ্ড করে দেয়া দিয়েছে।

শিবিরের সভাপতি বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন আধিপত্যবাদ বিশ্বের বিভিন্ন আগ্রাসন এই জাতিকে নানা দিক থেকে ঘিরে রেখে অগ্রযাত্রায় বারবার থামিয়ে দিয়ে তারা এ জাতিকে পিছিয়ে ফেলেছে। আমরা চেয়েছিলাম একটি মানবিক দেশ, যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। আমরা দেখেছি বিগত আওয়ামী দুঃশাসন তার আগে বাকশাল।

সবকিছুর মূলে ছিল কেউ তার মতপ্রকাশ করতে পারবে না। মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। মিডিয়ার টুটি চেপে ধরে শুধুমাত্র নিজেদের দলীয় গুণগান ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাইনি।

মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে যেভাবে ছাত্র-জনতা অংশ নিয়েছিল, মাঠে নেমেছিল। আমরা চাই স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও সেই যাত্রা শুরু হোক। তার প্রথম সূচনা হতে হবে ২৪ শে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, এর মূল হোতা যারা ছিল তাদের গ্রেফতার করতে হবে।

তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

শোভাযাত্রায় বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্র, মহানগর, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।