ঢাকা সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গোপালগঞ্জে আরও দুই মামলা আসামি ১৪৪২

গোপালগঞ্জে আরও দুই মামলা আসামি ১৪৪২

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার বাদী হয়ে সদর ও টুঙ্গিপাড়া থানায় নতুন দুইটি মামলা করেছেন। এসব মামলায় ১ হাজার ৪৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর মধ্যে টুঙ্গিপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সভাপতি নুরুল ইসলাম শেখ ও সাধারণ সম্পাদক ইফতি জামানসহ (পল্লব) ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ১৫(৩) ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।

অপরদিকে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলার ঘটনায় গোপালগঞ্জ কারাগারের জেলার তানিয়া জামান বাদী হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি নিউটন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০০ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মীর মোহাম্মদ সাহেদুর রহমান ও টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। টুঙ্গিপাড়া থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুলাই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি চৌরঙ্গী মোড় ও আশপাশ এলাকার রাস্তাঘাট, পিরোজপুর-ঢাকা মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে জনগণের মনে ভীতি এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করে যানবাহন চলাচল ব্যাহত করে।

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে মিছিল করতে থাকে। আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে এবং এনসিপির পথসভা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে পিরোজপুর-ঢাকা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টিসহ সরকারি সম্পত্তি উক্ত মহাসড়কের ক্ষতিসাধন করার উদ্দেশ্যে জনসাধারণের স্বাভাবিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে।

এ নিয়ে গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে ও হত্যা ঘটনায় মোট ১০টি মামলা করা হলো। সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো করা হয়। ১০টি মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬০০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৯ হাজার ২৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই থেকে গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩৪ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জেলার পাঁচটি থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সদর থানায় নতুন ১১ জনসহ ১১২ জন, কাশিয়ানী থানায় ৭৭ জন, মুকসুদপুরে ৮৮ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ২৯ জন ও কোটালীপাড়ায় ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

বুধবার এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হামলা চালান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান। রাতেই জারি করা হয় কারফিউ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত