শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসবে
প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই আগামী জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা আসবে যে নির্বাচনে সকলেই ভোট দিতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়েও ভয়াবহ তথ্য রয়েছে। তবে আগামী জাতীয় নির্বাচনটি হবে অনেক ভালো নির্বাচন।’
আসিফ নজরুল বলেন, বর্তমান সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করেছে। এ সরকারের সংস্কার কার্যক্রম পরবর্তী সরকার এসে অবশ্যই ধরে রাখবে। বিশেষ করে আইনি সংস্কার, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও ডিজিটালাইজেশন। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের কারণে কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতা, কর্মী এবং সাধারণ মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পেয়েছে।
একইদিনে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত সংলাপে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে, একদিনও দেরি হবে না। তিনি বলেন, একটা বিষয়ে নিশ্চিত থাকেন ইলেকশন (নির্বাচন) দেরি হবে না। ইলেকশন প্রফেসর ইউনূস যে সময় বলেছেন, তার থেকে একটা দিনও দেরি হবে না। প্রেস সচিব বলেন, তিনি (ড. ইউনূস) প্রথমে বলেছিলেন এপ্রিলের প্রথমে। তারপর আমরা লন্ডনে বলেছি যদি অনেকগুলো সংস্কার হয়... কাজগুলো এগিয়ে যায় সেক্ষেত্রে এটা ফেব্রুয়ারিতে হবে। আমরা সেই জায়গায় এখনও আছি। এটা একটা দিনও দেরি হবে না। তিনি বলেন, যাই হোক না কেন, যেভাবেই জুলাই সনদ হোক না কেন এটার প্রভাব গিয়ে ইলেকশনে পড়বে না। ইলেকশন তার সময় মতো হয়ে যাবে। এটুকু আমরা বলতে পারি। এ বিষয়ে প্রফেসর ইউনূস খুবই দৃঢ়ভাবে তার অবস্থান এখানে এবং পুরো কেবিনেটের এখানে দৃঢ় অবস্থান। প্রেস সচিব আরও বলেন, আমাদের কেবিনেটে যারা আছেন, তারা আগে অনেক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। তারা তাদের পুরোনো কাজে ফিরে যেতে চাচ্ছেন। তিনি বলেন, আমাদের এক বছর হয়ে গেলো। আমরা কতটুকু সফল, কতটুকু ব্যর্থ আপনারা জাজ করবেন। কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা যে ভয়ানক রকমের একটা ভূমিকম্পে.. মানে ভূমিকম্পে যেমন একটা দেশ ছারখার হয়ে যায়, সেরকম একটা দেশকে আমরা পেয়েছি। সেই জায়গায় এই সরকার চেষ্টা করেছে, দেশটাকে আবার গ্রোথের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে। সেই জায়গায় আমি মনে করে এই অন্তর্বর্তী সরকার খুবই সফল। শফিকুল আলম বলেন, সব মন্ত্রণালয়ে কাজ হয়েছে। আমি বলবো খুবই সিরিয়াস কাজ হয়েছে। বাংলাদেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমি মনে করি এগুলো খুবই যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এ কাজগুলো সামনে আরও সাহায্য করবে। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে একটা আইন ছিল, স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর থেকে বাজে ল (আইন) আসেনি। এটা ছিল বাংলাদেশের মহাচুরির বন্দোবস্তের একটা ল। একটা ল-কে সামনে রেখে এত চুরি.. আমরা রিপোর্ট করেছি লাখ কোটি টাকা চুরি হয়েছে এই একটিমাত্র ব্লক ব্যবহার করে। ওই আইনটা বাতিল করা হয়েছে আমাদের দায়িত্ব নেওয়ার ১০ দিনের মাথায়। আমরা প্রতিদিন নতুন নতুন সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।
