কাপ্তাই বাঁধের ১৬টি গেট খোলা, পানির স্রোতে চন্দ্রঘোনা ফেরি চলাচল বন্ধ

প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় গত বুধবার রাত ১১টা থেকে ১৬টি জলকপাট ৩ ফিট করে খোলা হয়েছে। এতে স্পিলওয়ের মাধ্যমে প্রায় ৫৮,০০০ কিউসেক পানি হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে। রাত ১১টায় পানির উচ্চতা ছিল ১০৮ দশমিক ৭৯ ফিট এমএসএল ছিল বলে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।

তিনি বলেন, কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় রাতে জলকপাট আড়াই ফিট থেকে বাড়িয়ে তিন ফিট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়। এতে প্রতি সেকেন্ডে কাপ্তাই লেক হতে প্রায় ৫৮ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বুধবার রাত ১১টায় ছিল ১০৮ দশমিক ৭৯ ফিট এমএসএল ছিল। যা বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। কাপ্তাই হ্রদের ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফিট এমএসএল।

তিনি আরও বলেন, কাপ্তাই লেকে পানির লেভেল যাতে বিপৎসীমা অতিক্রম না করে সেজন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পানির পরিমাণ বৃদ্ধির ওপর নির্ভর করেই পানি ছাড়ার পরিমাণ নির্ধারিত করা হবে। অতীতে হ্রদে পানি বৃদ্ধির ফলে ৫ ফুট উচ্চতায় পানি ছেড়ে দেওয়ার পরও কর্ণফুলীর নিচু এলাকায় কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। আশা করছি, আগামীতেও সমস্যা হবে না।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধির ফলে রাঙ্গামাটি জেলা শহরের কয়েকটি এলাকা এবং কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ দিকে কাপ্তাই হ্রদের পানি ছাড়ার ফলে স্রোতের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে চন্দ্রঘোনা ফেরিঘাটে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পানির প্রবাহ কমলে পুনরায় ফেরি চলাচল চালু হবে বলে জানিয়েছেন জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ চাকমা।

কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট সচল থাকায় এই ৫টি ইউনিট এর মাধ্যমে আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই লেক হতে কর্ণফুলি নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা। বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ৫টি ইউনিট দিয়ে ২১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।