সুসংবাদ প্রতিদিন

নবীনগরে পেঁপে চাষে গোলাপ মিয়ার সাফল্য

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ইব্রাহীম খলিল, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার পৌরসদরের মাঝিকাড়া গ্রামের গোলাপ মিয়া (৫৮) পেঁপে চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। চার বছর ধরে পেঁপে চাষ করে তিনি এখন উপজেলায় সফল মানুষের অনন্য দৃষ্টান্ত।

২০১৮ সাল থেকে পেঁপের পাশাপাশি বিভিন্ন শাক-সবজি ও ফলের চাষ শুরু করেন তিনি। বর্তমানে আধা বিঘা জমিতে তার পেঁপে বাগানে প্রতিটি গাছে থোকায় থোকায় পেঁপে ঝুলছে। বাগানের ফলন দেখে উৎসাহিত হচ্ছেন এলাকার অন্য কৃষকরাও। গোলাপ মিয়া জানান, দেশে পেঁপের চাহিদা সবসময় বেশি। এটি ফল হিসেবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি সবজি হিসেবেও সমান চাহিদা রয়েছে। পরিচর্যা করলে সব ধরনের মাটিতেই পেঁপে চাষ করা যায়। সাধারণত ৪-৫ মাসের মাথায় গাছে ফল ধরে এবং প্রতিটি গাছে ৫০-৬০টি করে ফল পাওয়া যায়। খরচ বাদ দিয়েও তিনি প্রতি মৌসুমে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত মুনাফা অর্জন করেন। গত মৌসুমে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে পেয়েছেন ১ লাখ টাকার মুনাফা। এ মৌসুমে প্রতি মণ কাঁচা পেঁপে ১৫০০-১৬০০ টাকা এবং পাকা পেঁপে ২৮০০-৩০০০ টাকা দরে বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।

সরেজমিন দেখা যায়, পেঁপের গাছগুলো দড়ি ও বাঁশ দিয়ে বাঁধা হয়েছে, যাতে ফলের ভারে গাছ ভেঙে না যায়। অনেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে তার বাগান দেখতে আসেন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সহজশর্তে ঋণ দিতে চাইলেও তিনি ঋণ নিতে আগ্রহী নন। নিজ পরিশ্রমে উৎপাদন বাড়িয়ে বাগানের পরিধি বৃদ্ধি করতে চান তিনি। গোলাপ মিয়া জানান, নিজেই বীজ বপন করে চারা তৈরি করেন। শুরুতে কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সার, ওষুধ ও পরিচর্যা বিষয়ে নিয়মিত সহযোগিতা পেয়েছেন। তার ইচ্ছা ভবিষ্যতে পেঁপে চাষ দেশের বেকার মানুষদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম লিটন বলেন, পেঁপে চাষে গোলাপ মিয়ার সফলতার পেছনে রয়েছে তার নিরলস প্রচেষ্টা। তিনি শুধু পেঁপেই নয়, লাউ, শিম, বেগুন ও কফি চাষ করেও লাভবান হয়েছেন। তিনি উপজেলায় একজন আদর্শ কৃষক ও স্বাবলম্বী মানুষের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।