সুসংবাদ প্রতিদিন
মাছের ঘেরের বাঁধে করলার চাষে বাড়তি আয়
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল মৎস্যভাণ্ডার নামে খ্যাতবিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে মৎস্য ঘেরের বাঁধে লবণাক্ত জমিতে করলার বাম্পার ফলন হয়েছে।
খেতেই করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। সরেজমিন দেখা যায়, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নে মৎস্য ঘেরের বাঁধে পুরো গ্রামজুড়ে করলার মাচা। সবুজ পাতায় ঘেরা এই মাচার নিচে ঝুলছে করলা।
কৃষকরা মাচা থেকে করলার সংগ্রহ করছেন। শুধু তাই নয়, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই গ্রামের করলার পাইকারদের হাত ধরে চলে যাচ্ছে সারা দেশে। মোরেলগঞ্জে উমাজুরি গ্রামের সফল করলা চাষি শাহজালাল বাবু বলেন, অন্যান্য ফসলের চেয়ে করলা চাষে লাভ বেশি এবং খরচ কম। জৈব সার ব্যবহার করার কারণে এখানে ফলন ভালো হয়। এ বছর ১০ বিঘা জমিতে করলাসহ বিভিন জাতের চারা রোপণ করেছিলাম। প্রতি বিঘা জমিতে ৫০০-৬০০ চারা রোপণ করা যায়। গ্রামটির করলার সারা দেশে বেশ চাহিদা রয়েছে। মৌসুমে উপজেলায় প্রায় কোটি টাকার শীতকালীন আগাম সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। সবজি উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে সফলতা পেয়েছে বলে মনে করছে কৃষক ও কৃষি বিভাগ। ফলে ভালো উৎপাদনের পাশাপাশি মোরেলগঞ্জে গড়ে উঠেছে সবজির বাজার। সারা বছরই মোরেলগঞ্জে সবজির আবাদ হয়।
করলাফড়িয়া ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে এসে দরদাম করে ট্রাকযোগে তা নিয়ে যাচ্ছে। মোরেলগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটি সভাপতি এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির বলেন, কৃষককে সার, বীজ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন সময় সহযোগিতা করে কৃষি বিভাগ। বিভিন্ন সীড কোম্পানি পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে সার ও বীজ দিয়ে গরিব কৃষকদের সহযোগিতা করতে হবে। মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, মৎস্য ঘেরের ভেড়িতে মিষ্টি কুমড়া চাষে উপকরণ সহায়তা প্রদান শীর্ষক উপ-প্রকল্পের আওতায় ২০০ জন চাষি ২০৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করেছে। তাদের বীজ, রাসায়নিক সার প্রদানসহ পোকাণ্ডমাকড় দমনে নানা উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে।
