সুসংবাদ প্রতিদিন

হাইব্রিড কাঁচামরিচের আবাদ বেড়েছে সিরাজগঞ্জে

প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এস,এম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে বর্ষা মৌসূমে (খরিদ-২) হাইব্রিড কাঁচা মরিচের চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজার এখন ভালো দাম থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। লাভজনক এ চাষাবাদে ঝুঁকছেন কৃষকরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার চরাঞ্চলসহ ৯টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ২১৫ হেক্টর জমিতে এ মৌসুমি চাষাবাদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি এ চাষাবাদ করেছে কৃষকরা। প্রায় ২ মাস আগে জেলার বিভিন্ন স্থানে এ হাইব্রিড জাতের বিভিন্ন মরিচের বীজ বোপণ করে কৃষকরা। এ হাইব্রিড মরিচ চাষের মধ্যে ফায়ার বক্স, বিজলী, সনি, মানিক ও চাটমমোহরি মরিচ বেশি চাষ করেছে। এসব মরিচ যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, বেলকুচি, চৌহালী, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বিজলী ও চাটমোহরি মরিচ বেশি চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যেই কৃষকের এ চাষাবাদের মরিচ উৎপাদন করতেও শুরু করেছে।

কৃষকরা বলছেন, স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পর বিশেষ করে চরাঞ্চল থেকে ভালো দামে মরিচ ক্রয় করছে ব্যবসায়ীরা এবং তারা এ মরিচ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছেন। এতে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, তেমনি ব্যবসায়ীরাও। বর্তমানে হাট-বাজারে এ মরিচ প্রতিকেজি ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে কয়েকদিন আগে এ কাঁচামরিচ ৩০০ থেকে সাড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এস এম নাসিম হোসেন বলেন, খরিদ-২ সহ অনান্য জাতের হাইব্রিড মরিচ উচুঁ জমিতেই চাষাবাদ হয়ে থাকে। এবার সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে ৪৫ হেক্টর জমিতে এ জাতের মরিচ চাষাবাদ হয়েছে এবং এ জাতের মরিচখেত থেকে আরও দেড়-দুই মাস মরিচ উৎপাদন হবে। প্রতি বিঘা জমিতে ৭-৮ মণ কাঁচামরিচ উৎপাদন হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে অতি বর্ষণের কারণে মরিচের খেত অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে গত সপ্তাহে কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছিল। এদিকে এরমধ্যেই কৃষকরা এ মরিচ চাষাবাদে প্রস্ততিও নিচ্ছেন। এক দেড় মাস বাদে আবারও মরিচের চাষ শুরু করবে কৃষকরা। অর্থাৎ প্রায় বারোমাসি বিশেষ করে হাইব্রিড মরিচ চাষাবাদ হয়ে থাকে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, প্রতিবছরই এ লাভনক মৌসুমি মরিচ চাষাবাদ হয়ে থাকে। এবার কৃষকরা নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছু বেশি চাষাবাদ করেছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ এ চাষাবাদে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন। এবার এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে এবং দাম ভালো থাকায় কৃষকরা খুশি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।