চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদ পানে দুইদিনে ছয়জনের মৃত্যু

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় বিষাক্ত মদ পান করে গত দুই দিনে অন্তত ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ডিঙ্গেদহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গত রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একজন মারা যাওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের নফরকান্দি গ্রামের খেদের আলী (৪০), খেজুরা গ্রামের মোহাম্মদ সেলিম (৪০), পিরোজখালী গ্রামের লাল্টু ওরফে রিপু (৩০), শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের শংকরচন্দ্র মাঝেরপাড়ার মো. শহীদ (৪৫), ডিঙ্গেদহ টাওয়ারপাড়ার মো. সমীর (৫৫) ও ডিঙ্গেদহ এশিয়া বিস্কুটপাড়ার মো. লাল্টু (৫২)। এর মধ্যে খেদের আলী ও মোহাম্মদ সেলিম গত শনিবার এবং অন্য চারজন গত রোববার মারা যান। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা ওয়াহিদ মাহমুদ বলেন, বিষাক্ত অ্যালকোহল পানে অসুস্থ হয়ে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁদের মধ্যে দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং একজন এখনো চিকিৎসাধীন। মো. লাল্টু মারা যাওয়ার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আলিমুদ্দিনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসাধীন শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের হানুরবারাদী গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলিমুদ্দিন (৫০)। গত রোববার রাতে তিনি বলেন, শ্রমিক সরদার লাল্টুসহ অন্যরা নিয়মিত অ্যালকোহল পান করতেন। তাঁদের পাল্লায় পড়ে গত বৃহস্পতিবার ডিঙ্গেদহ বাজারের একটি আড়তে তাঁরা কয়েকজন অ্যালকোহল পান করেন। যাঁরা বেশি পান করেছিলেন, তাঁরা মারা গেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদুর রহমান বলেন, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে পুলিশ মৃত লাল্টুর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। তখন জানা যায়, লাল্টু বিষাক্ত অ্যালকোহল পান করেছিলেন। এ ঘটনায় ছয়জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। পুলিশের কাছে লাল্টু ও সমীর নামের দুজনের লাশ আছে। গতকাল সোমবার লাশগুলোর ময়নাতদন্ত করা হবে। তথ্য গোপন করে যে চারজনের দাফন করা হয়েছে, তাঁদের লাশও ময়নাতদন্তের জন্য ব্যবস্থা করা হবে।