সড়কে নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারি রিকশা, বাড়ছে দুর্ঘটনা
প্রকাশ : ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার অলিগলি থেকে শুরু করে মূল সড়কে দিন দিন বেড়েই চলেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য। যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের সহজ মাধ্যম হলেও নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশা হরহামেশাই দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সড়কের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিপজ্জনকভাবে উল্টো পথে চলাচল করছে এসব যানবাহন। দ্রুত গতির যানবাহনের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে চলছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা।
সরেজমিন ঘুর দেখা গেছে, ঢাকাসহ দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোয় ব্যাপক হারে বেড়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা। বেশির ভাগই সড়কে নামানো হয়েছে সাধারণ রিকশায় ব্যাটারি সংযোজন করে। এ ব্যাটারি বাহনটির গতি বাড়ালেও দুর্বল ব্রেকিং ব্যবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। চালকদের বড় অংশই অদক্ষতা, যত্রতত্র পার্কিং, এলোমেলো চলাচলের কারণে সড়কের বিশৃঙ্খলা বাড়িয়ে দিয়েছে বহু গুণে। নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বেড়ে চলা ব্যাটারিচালিত রিকশা এখন দেশের সড়ক নিরাপত্তায় উদ্বেগের অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চালকেরা কোনো নিয়ম মানেন না, ট্রাফিক আইনকে পাত্তা দেন না, হঠাৎ ব্রেক কষে মানুষের ওপর উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। প্রতিদিন ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। আহত হচ্ছেন পথচারী, সাইকেলের আরোহী, এমনকি স্কুলগামী শিশুরাও। শুধু আহতই নয়, মারাত্মক দুর্ঘটনায়ও ঘটে। অথচ এর কোনো দায়দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ- না চালক, না প্রশাসন।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের পরিবহন খাতে এখন অন্যতম একটি সমস্যার নাম ব্যাটারিচালিত রিকশা। দেশের প্রচলিত আইনে ব্যাটারিচালিত রিকশা নিবন্ধনের কোনো সুযোগ নেই। তাই দেশে কী পরিমাণ ব্যাটারিচালিত রিকশা রয়েছে তার পরিসংখ্যানও সরকারের কোনো সংস্থার কাছে নেই।
সড়ক ব্যবস্থার জন্য ব্যাটারি রিকশা চরম দুর্গতি বয়ে আনছে বলে মন্তব্য করেন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. সামছুল হক। তিনি বলেন, ‘বিশৃঙ্খলা, যানজট, নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা ঢাকাকে মফস্বল শহরে পরিণত করেছে। দেশের অন্য বড় শহরগুলোয়ও একই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’
প্রশাসনের সামনে দিয়েই দেশে ব্যাটারি রিকশার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে অভিযোগ করে এ গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘যে সংস্থাগুলোকে সরকার রেগুলেটর হিসেবে তৈরি করেছে, এগুলো পেশাদারি না হওয়ায় ব্যাটারি রিকশায় ছাড় দিয়েছে। তারা ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ না করে দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ বাহন এখন বিরাট ব্যাধিতে পরিণত হয়ে গেছে। এ অসুখ সারাতে গেলে রাজনৈতিক সদিচ্ছা লাগবে। উৎপাদক পর্যায় থেকেই বাহনটি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। পাশাপাশি এসব বাহনের বিকল্প হিসেবে প্রবর্তন করতে হবে উন্নত ও আধুনিক গণপরিবহন।’
ব্যাটারি রিকশার কারণে শহরের ট্রাফিকব্যবস্থা নাজুক আকার ধারণ করছে বলে জানিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, প্রধান সড়কগুলোয় এ যানগুলো হঠাৎ গতি পরিবর্তন করে, ভুল লেনে চলে এবং প্রায়ই উল্টো পথে আসে, যার ফলে দ্রুতগতির অন্যান্য যানবাহনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি হয়। অনেক চালকেরই রিকশা চালানো বা ট্রাফিক আইন সম্পর্কে কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, ফলে বিশৃঙ্খলা বেড়েই চলেছে। বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি দুর্ঘটনাও ঘটছে এসব বাহনে।
পল্টন মোড়ে ত্রিমুখী যানজটের আটকাপড়া কয়েকজন যাত্রী বলছেন, রাজধানীর সড়কে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। লাইসেন্সবিহীন এসব অবৈধ বাহনের লাগামহীন দাপটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গোটা রাজধানীজুড়ে প্রধান সড়কগুলোতে বাধাহীনভাবে চলছে।
জনবহুল ও যানজটের এই নগরে বৈধ যানবাহন সামলাতেই হিমশিম ট্রাফিক পুলিশের। সেখানে অদক্ষ চালকদের এলোমেলো চলাচলে নগরীর সড়কগুলোতে প্রতিদিনই তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। এমন পরিস্থিতিতে অটোরিকশার দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স এবং নির্দিষ্ট নীতিমালা হলে শহরজুড়ে বিশৃঙ্খলা কমবে বলে মনে করেন নগরবাসী। তাদের মতে, সরকারের পক্ষ থেকে অটোরিকশার লাইসেন্সের নিয়ম করে নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে চলাচল করার ব্যবস্থা করলে জনভোগান্তি ও বিশৃঙ্খলা কমবে।
শান্তিনগরের বাসিন্দা ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক মিলকি আমাতুল মুগনী বলেন, ‘শহরজুড়ে খুব বিশৃঙ্খলাভাবে চলাচল করছে অটোরিকশা। প্রতিনিয়ত এর কারণে ছোটখাটো অনেক ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এটাকে শৃঙ্খলায় ফেরানো প্রয়োজন। এর জন্য দরকার সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন। সরকারের উচিত এলাকাভিত্তিক সীমিত আকারে লাইসেন্স এর মাধ্যমে এই অটোরিকশা চলাচলের ব্যবস্থা করা।’
নগর পরিকল্পনাবিদ ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, ‘অটোরিকশা শহরজুড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এটা সত্যি। কিন্তু এর মাধ্যমে অনেকের জীবিকার একটা বিষয় রয়েছে। সেজন্য এটাকে একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে শৃঙ্খলা ফেরানো প্রয়োজন। আমরা যদি কোথাও অ্যালাউ করি সেটা কোথায় ও কেন করবো, তার রেজিস্ট্রেশন কী হবে এই একটা পুরো পরিকল্পনা দরকার।’
মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার দেওয়ান জালাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘নানা সীমাবদ্ধতার কারণে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না। অটোরিকশাকে বিআরটিআই’র নিয়মের অধীন আনা জরুরি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, অটোরিকশার চালকরা আইন মানতে চায় না। আইন সম্পর্কে অনেকে জানেও না। সবাই মিলে বসে একটা বাস্তব সিদ্ধান্তে আসলে আমার ধারণা এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।’
সড়কে অটোরিকশার শৃঙ্খলা ফেরানোর বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এহসানুল হক বলেন, ‘ফিটনেসবিহীন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বেপরোয়া চলাচল ট্রাফিক ব্যবস্থাকে চরম বিশৃঙ্খল করে তুলেছে। এ যানবাহন এত বেড়েছে যে রাজধানীর প্রধান সড়ক থেকে এগুলোকে কয়েক দফা তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেও বন্ধ করা যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘অটোরিকশাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে অনেক দিন ধরে বিভিন্ন পর্যায় থেকে নীতিমালা করার দাবি ছিল। আমরা একটি নীতিমালার খসড়া করেছি। বাস্তবতার নিরিখেই খসড়াটি করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নিয়ে খুব শিগ্?গির তা চূড়ান্ত হবে। চূড়ান্ত নীতিমালাটি হলে ব্যাটারিচালিত রিকশার যে বিশৃঙ্খলা, তা কেটে যাবে বলে আমরা মনে করি।’
অটোরিকশার নীতিমালার প্রস্তাবনা : অটোরিকশাকে একটি সুনির্দিষ্ট কাঠামোর আওতায় আনতে একটি নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সেই নীতিমালার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, স্বল্প নিয়ন্ত্রণ-ক্ষমতাসম্পন্ন, ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার দ্রুতগতিসম্পন্ন মোটরযানের সঙ্গে একই মহাসড়কে চলাচলের সময় গতির পার্থক্যের কারণে প্রায়ই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও সড়কের ধারণক্ষমতার তুলনায় বেশিসংখ্যক বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার চলাচল করায় অসহনীয় যানজট সৃষ্টি ও বিদ্যুতের অপচয় বাড়াচ্ছে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, বিআরটিএ নির্ধারিত নমুনা অনুযায়ী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার তৈরি হতে হবে এবং এর টাইপ বিআরটিএ অনুমোদিত হতে হবে। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারে ব্যবহৃত দেশে তৈরি বৈদ্যুতিক মোটর, কন্ট্রোলার, গিয়ার বক্স, এক্সেল, হুইল রিম, ব্রেক, স্পিডো মিটার, হেডলাইট, শক অ্যাবজরভার, ব্যাটারি, চার্জার ইত্যাদি বিএসটিআই অনুমোদিত হতে হবে। তবে বিএসটিআই এ ধরনের মোটরযানের যন্ত্রাংশ অনুমোদনের ক্ষেত্রে বিআরটিএর মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে।
অনুমোদিত মডেল বা বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারককে বিআরটিএর তালিকাভুক্ত হতে হবে জানিয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত না হয়ে কোনও প্রস্তুতকারী বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করতে পারবে না। প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই নিজস্ব ব্র্যান্ড নামে এ ধরনের মোটরযান বা এর যন্ত্রাংশ বাজারজাত করতে হবে। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার বা এর যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী, উৎপাদনকারী অথবা সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে নিবন্ধন নিতে হবে।
অটোরিকশার নিবন্ধন দেবে বিআরটিএ, সর্বোচ্চ গতিসীমা ৫০ : সংশ্লিষ্ট এলাকায় যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির নির্ধারিত সংখ্যা অনুযায়ী বিআরটিএ মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা নিবন্ধন দেবে। তবে সীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা, সড়ক নেটওয়ার্ক ও অর্থনৈতিক গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
সীমা পুনর্র্নিধারণের ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারের অনুমোদন নিতে হবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে। এ জাতীয় মোটরযান বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ায় চলাচল করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করে বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ধীরগতির অটোরিকশার সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৩.৯ মিটার, প্রস্থ ১.৫ মিটার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে উচ্চতা ২.১ মিটার, সর্বোচ্চ ওজন (ব্যাটারিসহ) ৫০০ কেজি হবে। বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত হারে কর বা শুল্ক প্রযোজ্য হবে। এ নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত থ্রি-হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিবন্ধন সনদ, হালনাগাদ ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন আবশ্যক হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম গতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা, মোটরক্যাব রিকশা ও অটোটেম্পো এবং থ্রি-হুইল ভ্যান সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। ধীরগতিসম্পন্ন বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলারের সর্বোচ্চ গতিসীমা হবে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার।
আইন অমান্যের শাস্তি কী? নীতিমালায় বলা হয়েছে, মধ্যম ও স্বল্পগতির বৈদ্যুতিক অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে না। তবে মহাসড়কের সার্ভিস লেনে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে। মহাসড়ক ছাড়া অন্যান্য নির্দিষ্ট এলাকা বা রুটে এ জাতীয় মোটরযান চলাচল করতে পারবে। বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে অটোরিকশা মোটরযান চলাচলের কোনও ধরনের ব্যত্যয় হলে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’-এ বর্ণিত অপরাধের ধরন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে বলে খসড়া নীতিমালায় উল্লেখ রয়েছে। একইসঙ্গে চালকের বিআরটিএ ইস্যুকৃত ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে নীতিমালায়। চালনার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্স অবশ্যই চালকের সঙ্গে থাকতে হবে। বিদ্যমান অনিরাপদ ধীরগতির বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার ‘ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন ও চলাচলসংক্রান্ত নীতিমালা, ২০২৩’ অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে স্বউদ্যোগে নিরাপদ মডেলের থ্রি-হুইলার মোটরযানে রূপান্তর করতে হবে। এ সময় পার হওয়ার পর অননুমোদিত মোটরযানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে নীতিমালায় বলা হয়েছে। তবে অটোরিকশার নিবন্ধন প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উন্নত গণপরিবহন নামানোর পরিবর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিবন্ধনের যে প্রক্রিয়া নিয়েছে, তা শুরু হলে এক বছরের মধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর অচল হয়ে পড়বে।’ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দৌরাত্ম্য ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বগুড়া শহরের রাস্তায় এখন হাঁটা কিংবা সাইকেল চালানো প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
