সুসংবাদ প্রতিদিন
টেকনাফে রকমেলন ও সাম্মাম চাষে সাফল্য
প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া এলাকায় বিদেশি ফল সাম্মাম ও রকমেলন চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে কৃষি উদ্যোক্তা মো. মোস্তাক।
গতকাল বাহারছড়া ইউনিয়নের জুম্মা পাড়ায় সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, দুই জাতের ফল চাষ করেছে, থাইল্যান্ডের সাম্মাম ফল ও রকমেলন ফল, এ জাতীয় ফসলের জীবনকাল ৭৫ দিন, একর প্রতি ফলন হয় প্রায় আড়াই থেকে তিন টন। এ জাতের ফলগুলো পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিষ্টি হওয়ায় এলাকা ও সারা দেশে চাহিদা অনেক বেশি। এই কৃষক এর আগেও একই জমিতে রকমেলন সাম্মাম ফল চাষ করে বড় ধরনের লাভবান হয়ে পুনরায় চাষ করেছে। এবারও চাষের সাফল্য দেখছে। কৃষি উদ্যোক্তা মো. মোস্তাক এর সফলতা ও স্বাবলম্বী হওয়া দেখতে প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসছে কৃষকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ। তিনি এর আগে অন্য চাষ করে সাফল্য না পেলেও আরবের রকমেলন চাষ করে বড় ধরনের লাভবান হয়েছেন। এর আগেও এই চাষের সাফল্য পেয়ে পুনরায় সাম্মাম ফল চাষ করেছেন। চলতি সাপ্তাহে ফল তুলে বাজারে বিক্রি করবে বলে আশা।
কৃষি উদ্যোক্তা মো. মোস্তাক বলেন, আমি সাম্মাম ও রকমেলন ফল চাষের পদ্ধতি দেখে টেকনাফ উপজেলার কৃষি অফিসের সহযোগিতায় বীজ সংগ্রহ করেছি। ২/৩ খানি জমিতে সাম্মাম ফল ও রকমেলন ফল চাষ করেছি। আমার খরচ হয়েছে দুই লাখ টাকা, জমিতে ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে এক কেজি ফলের দাম ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় করা যায়। এরআগে ২/৩ খানি জমির সাম্মাম ও রকমেলন ফল বিক্রয় করে আমার লাভ হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। বর্তমানেও আরও লাভ বেশি হবে বলে আশা করছি। টেকনাফ উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম বলেন, সাম্মাম ও রকমেলন একই প্রজাতির কিন্তু জাত ভিন্ন, এই ফল থাইল্যান্ড ও ভারত ও আরবের দেশের মরু এলাকায় চাষাবাদ হয়। টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়নের কৃষকরা পিছিয়ে নেই চাষাবাদে। ২/৩ খানি জমিতে এ ফল চাষাবাদ হয়েছে। টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া অঞ্চলে এই জাতীয় ফল চাষাবাদের উপযোগী, আমরা কৃষকদের সাম্মাম ও রকমেলনের পাশাপাশি তরমুজ চাষে নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছি। বিদেশি ফল হওয়ায় এলাকায় পরিচিতি পেতে একটু সময় লাগবে। তবে এই ফল চাষাবাদ করে অল্প সময়ে কৃষক বেশি লাভবান হতে পারবে।
এব্যাপারে টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, মরু অঞ্চলের সাম্মাম ও রকমেলন ফল এই প্রথম টেকনাফ উপজেলায় চাষ হয়েছে। সাম্মাম পুষ্টিকর, সুস্বাদু ও মিষ্টি জাতের ফল। এরমধ্যে এই ফল এলাকায় জনপ্রিয় হয়েছে। সাম্মাম ফলের বাইরের অংশ হলুদ, ভেতরের অংশ লাল, রকমেলন ফলের বাইরের অংশ সবুজ ভেতরের অংশ লাল। কৃষি উদ্যোক্তা মো. মোস্তাক এই ফল চাষাবাদ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। কৃষি বিভাগ সবসময় তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে, এই ফল চাষাবাদ করার জন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি।
