আট কুকুরছানা হত্যায় সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রী গ্রেপ্তার
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবনার ঈশ্বরদীতে আটটি কুকুরছানাকে বস্তাবন্দী করে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আকলিমা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় এক সরকারি কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম আবদুন নূর জানান, দণ্ডবিধির (১৮৬০) ৪২৯ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমানের স্ত্রী নিশি রহমানকে (৩৮) আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের পর গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর সদরে রহিমপুর গার্লস স্কুলের পাশে একটি বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে মামলার বাদী আকলিমা খাতুন বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে ব্যাপকভাবে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার ফোন করেছিলেন। তিনি ঘটনাটি অমানবিক বলেছেন। এ ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে উল্লেখ করে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে।
এদিকে কুকুরছানা হত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্র কৃষক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসানুর রহমানকে সরকারি কোয়ার্টার ছাড়ার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। তিনি গত মঙ্গলবার বিকেলে কোয়ার্টার ছেড়ে চলে যান।
এ ঘটনায় হাসানুল রহমান বলেছিলেন, ‘সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমার স্ত্রী ছানাগুলোকে সরিয়ে দিতে বলেছিল। কিন্তু এগুলো যে মারা যাবে, তা ভাবিনি। আমি এই ঘটনায় লজ্জিত ও দুঃখিত।’সপ্তাহখানেক আগে উপজেলা ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা হাসনুর রহমানের সরকারি বাসার আঙিনায় একটি মা কুকুর আটটি ছানার জন্ম দেয়। পরে ছানাগুলো নিখোঁজ হয়। সোমবার সকালে কুকুরটিকে পরিষদ চত্বরে ছোটাছুটি করতে ও কাঁদতে দেখা যায়। স্থানীয় লোকজন খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ছানাগুলোকে পুকুরে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুকুর থেকে মৃত ছানাগুলো উদ্ধার করে মাটিচাপা দেওয়া হয়।
