ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনজনকে গুলির ঘটনায় পলাতক সন্ত্রাসী ভারত থেকে আটক
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রকাশ্যে গুলি করে তিনজনকে আহতের ঘটনায় অভিযুক্ত শাকিল মিয়াকে এক সহযোগীসহ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ৪৯ ব্যাটালিয়ন বিএসএফ শাকিলসহ দুজনকে আটক করে। পরে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কসবা উপজেলা সীমান্তের ২০৩৯ পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিজিবির হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করে কসবা থানায় পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ আটক শাকিল মিয়া (৩৩) ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে এবং তার সহযোগী আরিয়ান আহমেদ (২৪) মধ্যপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে।
পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী শাকিলের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় অস্ত্র আইনে একাধিক মামলা রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজহারুল ইসলাম জানান, গত ২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কান্দিপাড়া মাদ্রাসা রোড এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে তিন যুবককে আহত করেন শাকিল। এরই জেরে রাতে সাবেক ছাত্রদল নেতা সাদ্দাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে এই হত্যা মামলার প্রধান আসামি জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন দিলীপকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। সেই ঘটনার পর ভারতে পালিয়ে যান শাকিল।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস জানান, শাকিলসহ দুজন বিএসএফের হাতে আটকের ঘটনায় বিজিবির কসবা ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে কসবা থানায় পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও শহরের কান্দিপাড়া মাইমল হাটির বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন দিলীপ এবং ছাত্রদল নেতা শাকিলের মধ্যে বিরোধ চলছিল। একটি চোরাচালান পণ্য আটক ও এর ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এরই জেরে ২৮ নভেম্বর রাতে শাকিলের প্রকাশ্য গুলিতে দিলীপের তিনজন সমর্থক আহত হন। পরে রাতে দিলীপ দলবল নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় সাদ্দাম নিহত হন।
সাদ্দামের পরিবারের অভিযোগ, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে দিলীপ নিজেই তাকে (সাদ্দামকে) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেন।
