
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরে দেশ ও দলের হাল ধরবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তবে কখন তিনি দেশে ফিরবেন তার দিনক্ষণ বলেননি।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রত্যাশার কথা জানান। ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সঞ্চালনায় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমাদের সবার গর্ব করা উচিত, আমরা এমন একজন নেতা ও নেত্রী পেয়েছি। অতঃপর তাদের উত্তরসূরি আমাদের নেতা তারেক রহমানের মতো মানুষের সঙ্গে আমরা রাজনীতি করতে পেরেছি এবং করছি।’ তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান অচিরেই দেশে ফিরে এসে দেশের মানুষের হাল ধরবেন, রাজনীতির হাল ধরবেন এবং নতুন নতুন চিন্তাচেতনার মাধ্যমে দেশের মানুষকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন এটুকু আমি আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘ওই দিন বাচ্চা ছেলেদের একটা দল আছে, ওই দলের বাচ্চা ছেলেদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। ওদের বললাম, তোমরা কী আমাদের ঐক্য যেটা সেটাতে ইলেকশনে আসবা? বলে, আসব কিন্তু কন্ডিশন আছে। বাপরে বাপ, কত বড় দল। তার আবার কন্ডিশন। বলছে, আসব যদি সংস্কারের দাবি পূরণ করা হয়।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি বুঝতেই পারলাম না সংস্কার বলতে ওরা কী বুঝাতে চাচ্ছে? আমি জানতে চাইতাম ওদের কাছে সংস্কারটা কী? একটু বলো, কী সংস্কার- দেখি আমি পারি কি না। ওরা কথা বলতে পারছে না।’
‘অর্থাৎ বলার জন্য বলা, কথার জন্য কথা- সংস্কার বলছে। জিয়াউর রহমানকে আজ আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করব এ কারণে, তিনিই এমন সব সংস্কারের কাজ করেছিলেন যেগুলোর কখনও ঘোষণা দেননি। আজ পর্যন্ত ইতিহাস সাক্ষী দেবে, তিনি গার্মেন্ট সেক্টর এ দেশে আনলেন। তিনি কি ঘোষণা দিয়েছিলেন? তার কোনো দফা ছিল? গার্মেন্টসের একটা অংশ- এভাবেই তিনি বিশাল বিশাল সংস্কার করেছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে।