সুসংবাদ প্রতিদিন

সিরাজগঞ্জে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের এবার চরাঞ্চলে আগাম জাতের বাদাম চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। খরচ কম লাভ বেশি এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষক। এরইমধ্যে আগাম জাতের বাদাম চাষাবাদ প্রায় শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে জেলায় ৫ হাজার ৮৯৫ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দেশি বাদাম চাষাবাদ এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের দিকে শেষ হবে। যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। জেলার ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি ও বড়াল নদীর চরাঞ্চলে এ লাভজনক বাদাম চাষাবাদ করছে কৃষকরা। খরচ কম লাভ বেশি হওয়ায় এ চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশেষ করে জেলার চরাঞ্চলে আগাম জাতের বাদাম চাষাবাদ করেছে। প্রতিবছর অক্টোবর মাসের শেষ দিক থেকে আগাম জাতের বাদাম রোপণ করে এবং জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে জমি থেকে বাদাম উত্তোলন করা হয়। এছাড়া দেশি বাদাম চাষাবাদেও প্রায় একই সময় বাদাম উত্তোলন করা হয়ে থাকে। এ চাষাবাদে সার, সেচ ও সার তেমন প্রয়োগ করা হয় না। প্রতি বিঘায় গড়ে প্রায় ১২-১৩ মণ বাদাম উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে চরাঞ্চলে এ বাদামের উৎপাদন বেশি হয়ে থাকে। এ জেলার নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, খাসরাজবাড়ি, নিশ্চিন্তপুর, মেছড়া, কাটাঙ্গা, স্থল, ওমরপুর, বেলতৈল, গোটিয়ারচর, উজানচর, চর এনায়েতপুরে এ চাষাবাদে বেশি করা হয়ে থাকে এবং কৃষকরা এ চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ স্থানীয় কৃষকদের যথানিয়মে পরামর্শ দেয়া হয়। এরইমধ্যে চরাঞ্চলে আগাম জাতের বাদাম চাষে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম মঞ্জুরে মওলা বলেন, এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাষাবাদ বেশি হয়েছে। চরাঞ্চলে বাদাম চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। অল্প দিনের মধ্যেই নতুন বাদাম বাজারে উঠবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।