
সিরাজগঞ্জের এবার চরাঞ্চলে আগাম জাতের মিষ্টি আলু চাষে বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। খরচ কম লাভ বেশি এ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন কৃষক। আগাম জাতের মিষ্টি আলু চাষ শেষ হয়েছে এবং কৃষকরা আলুখেতে পরিচর্যাও শুরু করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে এ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে লাভজনক এ চাষ করেছে। তবে দেশি মিষ্টি আলু চাষাবাদ এ মাসের শেষ দিকে শেষ হবে। যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চরাঞ্চলে এ চাষ সবচেয়ে বেশি হয়েছে এবং জেলার ফুলজোড়, করতোয়া, ইছামতি ও বড়াল নদীর চরাঞ্চলে এ লাভজনক মিষ্টি আলু চাষ করছে কৃষকরা। গত বছরের চেয়ে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৬০ হেক্টর জমিতে এ চাষ বেশি করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বিশেষ করে জেলার চরাঞ্চলে আগাম জাতের আলু চাষ করেছে।
গত অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে আগাম জাতের আলুর চারা রোপণ করে এবং নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেশি আলুর চারা রোপণ শুরু হয়েছে। এ চাষাবাদে সার ও সেচ তেমন প্রয়োগ করা হয় না। আগাম জাতের মিষ্টি আলু জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে উত্তোলন করা হবে এবং দেশি মিষ্টি আলু প্রায় একই সময় উত্তোলন করা হবে। সাদা ও লাল রংয়ের মিষ্টি আলু প্রতি বিঘায় গড়ে প্রায় ২০-২৫ মণ বাদাম উৎপাদন হয়ে থাকে। তবে চরাঞ্চলে এ মিষ্টি আলুর উৎপাদন বেশি হয়। এ জেলার খাসরাজবাড়ি, নিশ্চিন্তপুর, নাটোয়ারপাড়া, তেকানি, মেছড়া, ছোনগাছা, ভাটপিয়ার, কাটাঙ্গা, স্থল, ওমরপুর, বেলতৈল, গোটিয়ারচর, উজানচর, চর এনায়েতপুরে এ চাষ বেশি করা হয়ে থাকে।
সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ স্থানীয় কৃষকদের যথানিয়মে পরামর্শ দেওয়া হয়। এরমধ্যেই চরাঞ্চলে আগাম জাতের মিষ্টিআলু চাষে সবুজের সমারোহ সৃষ্টি হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক এ কে এম মঞ্জুরে মওলা বলেন, এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চাষাবাদ বেশি করেছে কৃষকরা এবং চরাঞ্চলে মিষ্টিআলু চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।