সুসংবাদ প্রতিদিন
মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে সাফল্য
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর চিরিরবন্দর উপজেলায় তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা লোকমান হোসেন মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করে দারুণ সফলতা পেয়েছেন, যা প্রচলিত কৃষি পদ্ধতির বাইরে গিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে এবং বেশি লাভের কারণে অন্যান্য কৃষকদেরও অসময়ে তরমুজ চাষে উৎসাহিত করছে, কারণ এই পদ্ধতিতে তরমুজ চাষে আগাম ফলন ও ভালো দাম পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় উচ্চ ফলনশীল তরমুজ চাষ করে কম সময়ে এবং কম খরচে দ্বিগুণ-তিনগুণ লাভ করছেন কৃষক।
কৃষি উদ্যোক্তা লোকমান হোসেন জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতা ও পরামর্শে দুই বিঘা জমিতে রঙ্গিলা ও সুপার কিং জাতের তরমুজ চাষ করেছি। আগে এ জমিতে সিম ও ফুলকপিসহ শীতের বিভিন্ন সবজি চাষ করতাম। শীতের সবজিতে উৎপাদন খরত তুলনামূলক বেশি হওয়ায় শীতের সবজির বদলে উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় উচ্চ ফলনশীল তরমুজের বীজ সার পেয়ে তুরমুজ চাষ করে বেশ লাভবান হচ্ছি। আমার দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করে উৎপাদন খরচ হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার টাকা। মালচিং পদ্ধতিতে চাষ করা তরমুজ দুই মাসের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন এসছে ২ থেকে ৩ কেজি করে। স্থানীয় বাজারে শীতকালিন বারোমাসি তরমুজের ব্যাপক চাহিদা থাকায় প্রতি কেজি তরমুজ পাইকারি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যাবে বলে আশা রাখছি। এতে শীতরে সবজি চাষের প্রায় দ্বিগুণ লাভ হবে আশা করছি। আশা করিছি উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে।
উপজেলা উপসহকারি কর্মকর্তা মেনহাজুল ইসলাম নবান বলেন, কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি অফিস থেকে সার, বীজ, মালচিং পেপারসহ আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত কৃষক লোকমানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে পরামর্শ দিয়েছি। প্রায়ই ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। প্রতেকটি গাছেহলুদ ও সবুজ রঙের তরমুজ ঝুলছে।সামনে সপ্তাহে বাজার জাত করবে পাইকার ফল দেখে যাচ্ছে। চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি অফিসার জোহরা সুলতানা আজকের প্রতিকাকে বলেন, উপজেলার ভিয়াইল ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের তরুণ কৃষি উদ্যোক্তা লোকমান হোসেন কৃষি বিভাগের সহযোতিায় শীতকালীন তরমুজ চাষ বেশ সফল হয়েছে। রবি মৌসুমে তরমুজটা সামনে সপ্তাহে বাজারে আসেব। আমরা আশা করছি শীতকালী তরমুজ আনকমন ফল হলেও বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা ও দাম ভালো পাবে কৃষক। লোকমানের এই অসময়ে তরমুজ চাষের সাফল্য দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও উৎসাহিত হচ্ছেন এবং এমন পদ্ধতি অনুসরণ করছেন।
