রংপুরে ব্রয়লারের কেজি ২৬০, দেশি ৫৫০ টাকা

প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

সপ্তাহের ব্যবধানে রংপুরে আরও বেড়েছে মুরগির দাম। ধনেপাতা, ফুলকপি ও মটরশুটিসহ কিছু সবজির দামও ঊর্ধ্বমুখী। তবে কমেছে রসুন ও সজনে ডাঁটার দাম। মাছ, চাল, ডাল ও তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্প্রতি রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগি ২১০-২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০-২৬০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ৩১০-৩২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪০-৩৫০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৪৬০-৪৭০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৪০-৫৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পাকিস্তানি লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতোই ৬৭০-৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৯০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মুলাটোল আমতলা বাজারের আল-আমিন নামে এক মুরগি বিক্রেতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মুরগির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে সিন্ডিকেট। কিছু কোম্পানি খামারিদের কাছ থেকে সরাসরি মুরগি কিনে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে সাধারণ দোকানিরা চড়া দামে মুরগি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়ছে। বাজারে মুরগি কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, গরিবের মাংসের স্বাদ পূরণ করে ব্রয়লার। ১২০-১৩০ টাকার সেই ব্রয়লার এখন ২৫০-২৬০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ২৫-৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, শসা ২৫-৩০ টাকা, চিকন বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ২০ টাকা, গোল বেগুন ৪৫-৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা, পেঁপে ১৫-২০ টাকা, উচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা থেকে কমে ১১০-১২০ টাকা, লেবু হালি ১৫-২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৩০-১৪০ টাকা থেকে কমে ৮০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে দাম ৩০-৪০ টাকা, ধনেপাতার কেজি৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিম ৩৫-৪০ টাকা থেকে কমে ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ১০ টাকা পিস এবং ফুলকপি ১০-১৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে বক্রি হচ্ছে। আদা ১৩০-১৪০ টাকা এবং রসুন ১৩০-১৪০ টাকা থেকে কমে ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। এছাড়া সজনে ডাঁটা ২২০-২৪০ টাকা থেকে কমে ১৫০-১৬০ টাকা, মিষ্টি আলু আগের মতোই ৩৫-৪০ টাকা, পটোল ৭০-৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ১০০-১২০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকা এবং মটরশুটি ৪০-৪৫ টাকা থেকে বেড়ে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে নতুন কার্ডিনাল আলু ১৫-১৬ টাকা, শিল ও ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজ ৩০-৩৫ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা কেজি দরে। সিটি বাজারের সবজি বিক্রেতা মকবুল মিয়া বলেন, আমদানির ওপর নির্ভর করে সবজির বাজার ওঠানামা করছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা, দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্যাকেট আটার দাম কমে ৬৫-৬৮ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা ৯৫-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা এবং বুটডাল ৯৫-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি ৪০-৪২ টাকা। মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কার্প ২০০-২২০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।